বুড়িমারী বন্দরে আটকা পড়েছে পাসপোর্ট যাত্রীরা
শেখ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, লালমনিরহাট, ১৭ এপ্রিল ॥
বুড়িমারী ইমিগেশন রুটে কয়েক শতশত যাত্রী আটকা পড়েছে। ভারত সরকার আকর্ষিক ভাবে রুটটি বন্ধ ঘোষনায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীগণ। এমন কি ১৭ এপ্রিল হতে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বুড়িমারী স্থল বন্দরের সকল কার্যক্রম।
জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর, শবে কদর, বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার চতুর্থদেশীয় বুড়িমারী আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর টি ১০ দিন ধরে সরকারী ভাবে বন্ধ ছিল। কোন ধরণের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ছিল না। তবে স্বাভাবিক ছিল দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী ও পর্যটকদের যাতাযাত। বুড়িমারী কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুজ্জামান সায়েদ ১০ দিনের ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করে ছিলেন। তবে ১৫ এপ্রিল হতে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আগের নিয়মে চালু থাকবে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের এসআই আহসান কবির সরকার পলাশ জানান, ১০ দিন ছুটির পর কেবল জমে উঠতে ধরে ছিল ইমেগ্রেশন রুটটি। তারমধ্যে হঠাৎ করে তিন দিনের জন্য ইমেগ্রেশন রুটটি বন্ধ ঘোষনা করা হয়। দেশের নানা প্রান্ত হতে যাত্রীরা এসে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছে। তবে ৫ টার পর ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা ইমেগ্রেশন হতে ৫০/৬০ জন বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীকে নিজ দেশে প্রবেশ করতে অনুমতি দিয়েছে। এদের অধিকাংশ চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে ছিল। তিনি আরো জানান, ভারতীয় সরকার হতে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের মাধ্যমে তাকে জানানো হয়েছে আগামীকাল হতে যারা চিকিৎসা ভিসায় ভারতে যাবে তাদের কে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। আর যেসব ভারতীয় নাগরিক ভারতের সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তারাও যেতে পারবে।
বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের (কাস্টমস) সহকারী কমিশনার (এসি) নাজমুল হাসান জানান, উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্তে স্থল শুল্ক স্টেশন ১০ দিন ছুটি ছিল। ১৭, ১৮ ও ১৯ এপ্রিল এই তিন দিন ভারতে লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে বন্ধ থাকবে বুড়িমারী স্থলবন্ধর।
আগামী ১৯ এপ্রিল ভারতের জলপাইগুড়ি জেলায় অনুষ্ঠিত হবে ১৮ তম লোকসভা সাধারণ নির্বাচন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জলপাইগুড়ি এর সিদ্ধান্তক্রমে চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরে সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন। তাই লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থল বন্দরে যাত্রী গমনাগমন, আমদানি-রপ্তানি সহ সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এদিকে ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা ইমেগেশন রুটে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী যাত্রীরা আটকা পড়লে তারা জলপাইগুড়ি জেলার ম্যাজিষ্ট্রেটের সঙ্গে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নম্বর নিয়ে কথা বলে সমস্যার সাময়িক সমাধান করে বিকাল ৫ টার পর ৫০/৬০ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে কিন্তু ভারতীয় পাসপোটধারীরা কেউ ভারতে বাংলাদেশ হতে প্রবেশ করতে পারেনি। কারণ হিসেবে তারা পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ওয়েবসাইডে ঢুকে দেখে সেখানে কোন নম্বর দেয়া নেই।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//১৭এপ্রিল ২০২৪//

Discussion about this post