কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালী কওমি এতিময়খানা ছাত্রকে বলৎকারে অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেফতার হয়েছে।
আটককৃত শিক্ষক রবিউল ইসলাম রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার মুন্জুরুলের ছেলে। বুধবার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাতটার সময় মাদ্রাসা থেকে পুলিশ তাকে আটক করনে।
এ বিষয়ে বলৎকারের শিকার ছাত্রের বাবা জানান, গত পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে আমি আমার ছেলেকে ডি ডি কওমি এতিম খানা মাদ্রাসায় ভর্তি করি। ভর্তি করার পর থেকে আমার ছেলে ওই মাদ্রাসাতে থাকতো। ঈদুল ফিতরের ছুটিতে মাদ্রাসা বন্ধ হলে আমার ছেলে বাড়ি আসে। গত তিন দিন আগে মাদ্রাসা আবার পুনরায় শিক্ষার ব্যবস্থা চালু হলে আমার ছেলেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বলি। কিন্তু আমার নাবালক ছেলে মাদ্রাসাতে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন মাদ্রাসার শিক্ষক ভালো না। কি ভালো না এবং কেন ভালো না জানতে চাইলে আমার ছেলে বলেন আব্বা শিক্ষক রবিউল আমাকে তিন দিন গভীর রাতে তার থাকার রুমে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে, গতরাত্রে সাত রমজানে আমাকে সর্বশেষ ধর্ষণ করেছেন । ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মাদ্রাসায় গেলে মাদ্রাসার শিক্ষক রবিউল ঘটনার সত্যতা সকলের সামনে স্বীকার করেন। আমি এই শিক্ষকের সঠিক তদন্ত করে আইনের কাছে সঠিক বিচার দাবি করছি।
ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় হাজার হাজার এলাকাবাসী মাদ্রাসায় প্রবেশ করে।মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিক্ষক রবিউলকে দৌলতপুর থানা পুলিশের হেফাজতে দেন।
এ সময় এলাকাবাসী দাবি করেন এ সকল ভন্ড হুজুর মাদ্রাসা শিক্ষকের জন্য প্রকৃত হুজুর মাদ্রাসা শিক্ষকদের সম্মান হানি হচ্ছে। তাই আমাদের দাবি এই সকল ভন্ডদের আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচার করা হোক।
এ সময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতে পর পর তিন দিন ছাত্রকে বলৎকারের কথা স্বীকার করেন শিক্ষক রবিউল।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ জাবীদ হাসান জানান, ১৮/৫/২২ইং তারিখ আমরা সংবাদ পাই দৌলখালী দাড়ের পাড়া ডি ডি কওমি এতিম খানা মাদ্রাসায় একজন শিক্ষকে এলাকাবাসী অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে জানতে পারে রবিউল তার ছাত্রকে দীর্ঘদিন যাবৎ বলৎকার করে আসছে। এমন্ত অবস্থায় থানা পুলিশ শিক্ষক রবিউল কে আটক করে। বলৎকারের শিকার হওয়া ছাত্রকে মেডিকেল পরিক্ষা ও জবানবন্দি নেওয়ার জন্য কুষ্টিয়া পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আর// দৈনিক দেশতথ্য//১৯ মে-২০২২//

Discussion about this post