কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে গতকাল শুক্রবার রাতে। প্রায় ৭বছর পর এই উপজেলা ছাত্রলীগের ৭১সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। গতকাল শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক ও সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ তাঁদের ফেসবুকে এ কমিটির ঘোষণা দেন।
অভিযোগ উঠেছে,এই কমিটিতে মিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসলাম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আশিকুর রহমান দুজনই বিবাহিত। তাদের বিয়ের কাবিননামার ছবিও মিলেছে। এই কমিটিতে রয়েছে মাদকসেবী, অছাত্র, বিবাহিতরা স্থান পেয়েছেন। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ধারা এই উপজেলা ছাত্রলীগের অনেক নেতার ক্ষেত্রে কার্যকর হয়নি।
দীর্ঘদিন এই উপজেলায় ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেও কাঙ্খিত পদ না পাওয়ায় রাতেই নিজ ফেসবুকে স্ব-ইচ্ছায় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদ থেকে পদত্যাগও করেছেন ছাত্রলীগ নেতা রানা আহমেদ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কমিটি নিয়ে নানা বিরূপ মন্তব্য করছেন নেতাকর্মীসহ অনেকেই।
ছাত্রলীগ নেতা রানা আহমেদ জানান, নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিবাহিত তাদের দুজনের বিয়ের কাবিননামা নেতাকর্মীদের হাতে হাতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও তা পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, খোঁজ নিলে এই কমিটির অনেকের বিয়ের কাবিননামা পাওয়া যাবে। তার দাবি, দীর্ঘ সময় ধরে ছাত্রলীগ করে আসছি। আগের কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। নতুন কমিটির ছাত্রলীগ নেতাদের এদের মধ্যে মাদকসেবী, অছাত্রও রয়েছে। তাই এদের সঙ্গে আমি নোংরা পলিটিক্স করবো না বলেই স্ব-ইচ্ছায় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।
এ দিকে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতেও কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী, বিবাহিত, চাকরিজীবী, ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃতরাও স্থান পেয়েছেন। শুধুই জেলা ছাত্রলীগই নয়, কুমারখালী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতেও বিতর্কিতরা স্থান পেয়েছেন।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ জানান, কমিটি দেওয়ার সময় যাচাই করা হয়েছে। এরপরও কেউ যদি অপকর্মের তথ্য লুকিয়ে থাকে গঠনতন্ত্র মোতাবেক কমিটিতে তার পদ থাকবে না। আমাদের কাছেও কিছু খবর আসছে। এগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//