শাহীন আহমেদ, কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী সরকারি কলেজের পাশে মালিকাধীন ছাত্রাবাস থেকে তরুণীসহ কলেজের এক অফিস সহকারিকে আটক করেছে এলাকাবাসী। তার নাম আব্দুল কাদের। তিনি নাগেশ্বরী কলেজের বাংলা বিভাগের অফিস সহকারি হিসেবে কর্মরত। তিনি কচাকাটা থানার তরীরহাট এলাকার মশিয়ার রহমানের ছেলে বলে জানা গেছে। মেয়েটি তার বাড়ি ভুরুঙ্গামারী এবং সে নাগেশ্বরী কলেজের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী বলে জানিয়েছে।
কলেজের এক শিক্ষক জানান, আব্দুর কাদের প্রায় চার বছর ধরে কলেজের পাশে মদিনা ছাত্রাবাসে থাকতো। রোববার দুপুরে এক তরুণী নিয়ে রুমে ঢুকে প্রায় দু’ঘন্টায় বের না হলে আশপাশের লোকজন দরজায় ডাকাডাকি করলে সে সাড়া দেয়নি। পরে ওই কলেজের শিক্ষক ও পাশের ছাত্রী নিবাসের মালিক সেখানে গিয়ে ডেকে বের করলে তার পা ধরে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায়।
কিন্তু তখন স্থানীয় লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং আব্দুল কাদেরকে উত্তম-মধ্যম দেয়। এসময় মেয়েটি জানায়, তার বাড়ি ভূরম্নঙ্গামারী। কাদেরের সাথে তিন বছর ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক। এর আগেও তারা সেখানে দেখা করেছেন। আটকের সময় দু’জনে বিয়ে করতে না চাইলে তাদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ছাত্রাবাসের আশপাশের লোকজন জানান, আব্দুল কাদেরের এমন ঘটনা আরও রয়েছে। ছাত্রীনিবাসের একাধিক ছাত্রী অভিযোগ করেন তার বিরুদ্ধে। মেয়েদের দেখলে সে নানারকম কু-কথা বলতো। বিষয়টি ছাত্রী নিবাসের মালিকদেরও জানানো হয়েছে। নাম প্রকাশ করতে না চেয়ে এক ছাত্রীনিবাসের মালিক বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের এক শিক্ষক বলেন, ওই ছেলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানানোর চেষ্টা করেছি। কাদের সেটা করতে দেয়নি। মেয়েটিও অভিযোগ করতে চায়নি। মদিনা ছাত্রাবাসের মালিক সোলায়মান আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় আশপাশের লোকজন খুব ক্ষিপ্ত । তাকে বের করে দেয়া হয়েছে। কথা বলতে অফিস সহকারি আব্দুল কাদেরের মুঠোফোনে দীর্ঘ সময় ধরে বারবার কল করলেও বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে তাকে উত্তম-মধ্যম দেয়া ছেলেরা জানান, সে যাওয়ার আগে ফোন বন্ধ করেছে। বাড়িতে যাবে বলে আমাদের বলেছে।
নাগেশ্বরী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান প্রভাষক খাদেমুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি একজনের মাধ্যমে শুনেছি। কলেজের অধ্যক্ষকে জানানো হবে। তিনি এর ব্যবস্থা নেবেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post