চাড়ালকাটা -যমুনেশ্বরী -দেওনাই নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বাঁশদাহ গ্রামের মানুষের চাড়ালকাটা -যমুনেশ্বরী -দেওনাই নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত স্কুল-কলেজ মাদরাসার শিক্ষার্থীদের নদী পারাপার করতে হয়।
ভারত থেকে নেমে চাড়ালকাটা -যমুনেশ্বরী -দেওনাই নদীর লক্ষীচাপ(বসুনিয়া বাজার)-শীমুলবাড়ী বাঁশদহ অংশে ব্রিজ না থাকায় ভোগান্তির অন্ত নেই অন্তত সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার গ্রামের মানুষের।
শুষ্ক মৌসুমে স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নদী পার হতে হয়। বর্ষায় ওই নদীতে থাকে প্রচণ্ড স্রোত থাকে। তখন উজানের পাহাড়ি ঢলের স্রোতে সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয় দুই তীরের বাসিন্দাদের। আর শুষ্ক মৌসুমে নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সেতু।
ওই নদীর উভয় পাড়ের মানুষ এই বাঁশের সেতু দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। নদীর দক্ষিণ তীরে প্রগতিপাড়া আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুবাছুরী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ, লক্ষীচাপ দ্বী-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়,নীলফামারী সদরের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে হয়।
চাড়ালকাটা -যমুনেশ্বরী -দেওনাই নদীর লক্ষীচাপ(বসুনিয়া বাজার)-শীমুলবাড়ী বাঁশদহ অংশে নদীর উপর এলাকার বাসিন্দারা বাঁশের সেতুতেই যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানান, সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই পাহাড়ি ঢলে নদীতে থাকে প্রচণ্ড স্রোতধারা প্রবাহমান থাকে। এ সময় দুই পাড়ের মানুষসহ তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয়। আর পারাপারের সময় অনেক দুর্ঘটনায় পতিত হতে হয় শিক্ষার্থীদের।
বাঁশদহ গ্রামের প্রসাধু জানান, শুষ্ক মৌসুমে ৮ মাস এলাকার রোগী, চাকরীজীবী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে আসা-যাওয়া করতে সুবিধা হয় এই পথ দিয়ে। কিন্তু বর্ষায় সেতু পারাপারে আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে ওই নদী পারাপার।
অন্য আরেক বাসিন্দা পরিতোষ রায় জানান, বাপ-দাদার আমল থেকে শুনে আসছি এই বাঁশের সেতুর কথা। আমরাও প্রতিদিন এই বাঁশের সেতু দিয়েই যাতায়াত করি। কিন্তু বর্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয়। ছোট যান বা মোটরসাইকেল পারাপার করতে হয় দুর্গম এলাকা ঘুরে। এখানে ব্রিজ নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ হামিদুল হক বলেন, আমরা এর আগে নদীর পাশ্ব দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করেছিলাম সেটি বন্যার পানিতে ভেঙ্গে গেছে। সেখানে রাস্তা তৈরীর জন্য কেউ জমি দিতে চায় না। উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় সেতুটি সংস্কারের জন্য অনেকবার বলা হয়েছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ যাতায়াত করছে।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী (অঃ দাঃ) মোঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, বাঁশদাহ এলাকায় এমন বাঁশের সাঁকো রয়েছে সেটা আমার জানা নেই। ওই এলাকার স্থানীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে জানার পরে আমি যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম সেতুটি নির্মাণের জন্য দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//সেপ্টম্বর ১১,২০২২//