Print Date & Time : 11 May 2025 Sunday 10:13 am

জন্মান্ধ ছাদেকের সংগ্রামী জীবন

জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধি ছাদেক আলী। সে দৃষ্টি প্রতিবন্ধিরা সমাজের জঞ্জাল নয় একথা প্রমান করে দিয়েছেন জন্মান্ধ ছাদেক আলী। জন্মান্ধ ছাদেক আলী দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুন্ডি এলাকার বাঁধের বাজার গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। দুই মেয়ে ও স্ত্রী নিয়েই তার সংসার। একটি লাঠিই তার চলাচলের একমাত্র অবলম্বন। তিনি ভিক্ষা না করে ওই লাঠি ঠুকরিয়ে মাথায় বাদামের ডালী নিয়ে বাদাম বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন।

প্রায় বিশ বছর ধরে পায়ে হেঁটে কখনো উপজেলা চত্বরে, কখনোবা থানার সামনের রাস্তায়, কখনো হাসপাতালের সামনে, কখনোবা আল্লাহরদর্গা বাজারে  সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি পায়ে হেঁটে বাদাম  বিক্রি করে সংসার চালান।

তিনি উপজেলার চরাঞ্চল থেকে কাঁচা বাদাম সংগ্রহ করেন। তারপর বাড়িতে এনে ভেঁজে বিক্রি করেন। প্রতিদিন দুই  থেকে আড়াই’শ টাকার মতো আয় হয়। এভাবে বাদাম বিক্রি করতে গিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাকে। রাস্তায় চলার পথে গাড়ি ঘোড়া সহ বিভিন্ন জিনিসের সাথে ধাক্কা খায়।  ছোট বড় দূর্ঘটনা মাঝে মধ্যেই ঘটে। তবুও জীবিকার জন্য এভাবেই বাদাম বিক্রি করেন।

দৌলতপুর প্রেসক্লাব ডিপিসি’র সভাপতি আব্দুল আলীম সাচ্চু বলেন, আমি অনেক আগে থেকে দেখে আসছি উনি অন্ধ হয়েও পায়ে হেঁটে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বাদাম বিক্রি করেন। কারো কাছে ভিক্ষা চান না সে। আমিও মাঝেমাঝে উনার কাছ থেকে বাদাম কিনি।

একান্ত আলাপকালে ছাদেক আলী বলেন, ভিক্ষা করা খারাপ কাজ। বাদাম বিক্রি করেই আল্লাহ বরকত দেয়। কষ্ট হলেও এতেই সংসার চালিয়ে নিতে হয়।

আর//দৈনিক দেশতথ্য//২৯ জুলাই-২০২২//