জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি, আনন্দ র্যালি, প্রকাশনা উৎসব, চারুকলা প্রদর্শনী, নাটক পরিবেশনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২৩’ উদযাপিত হয়েছে।
‘আঠারোতে জগন্নাথ সাহসী নির্ভীক’ স্লোগানকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১৯ অক্টোবর রোজ বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়।
সকালে শহিদ মিনার চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
উদ্বোধন শেষে অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ-এর নেতৃত্বে ব্যান্ডদলে সুসজ্জিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আনন্দ র্যালিটি শহিদ মিনার চত্বর হতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রায় সাহেব বাজার মোড় ঘুরে, ভিক্টোরিয়া পার্ক পরিক্রমণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে শেষ হয়। এসময় ছাত্র-ছাত্রীরা নানা রঙ-বেরঙের টি-শার্ট ও শাড়ি পরে নেচে গেয়ে র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। ’ি
এছাড়া বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, প্রভোস্ট, প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম লুৎফর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, প্রতিটি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ নিজস্ব বিভাগীয় ব্যানারে র্যালিতে অংশগ্রহণ করে।
র্যালি শেষে ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচতলায় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। প্রকাশনা প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত গ্রন্থ, বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগ থেকে প্রকাশিত জার্নাল, শিক্ষকদের প্রকাশিত গ্রন্থ ও অন্যান্য মুদ্রণ উপকরণ স্থান পায়।
এ সময় বাঁধন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের উদ্যোগে ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার। সকাল ১১ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নিচতলায় ‘ঐতিহ্য ও পরষ্পরায় আমার প্রিয় ক্যাম্পাস’ শিরোনামে চারুকলা বিভাগের উদ্যোগে বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী করা হয়। এতে বিভাগীয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবি ও অন্যান্য শিল্পকর্ম স্থান পায়।এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে নাট্যকলা বিভাগের উদ্যোগে ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ নাটক মঞ্চায়িত হয়।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠি-এর সমন্বয়ে মুজিব মঞ্চ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এরমধ্যে নৃত্য, দলীয় সংগীত, নজরুল গীতি, লোক সংগীত উল্লেখযোগ্য। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরুর প্রারম্ভে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, “আজকের দিনের শিক্ষার্থীদের এই উচ্ছাস-আনন্দ, অনুভূতিই বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বড় সম্পদ ও অর্জন।” তিনি বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া বর্তমান সরকারের লক্ষ্য, আর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সম্মুখ সারিতে থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।” তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় সঠিকভাবে পরিচালনা ও উন্নয়নের জন্য সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতা প্রয়োজন। সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস দ্রুততার সাথে শেষ করা সম্ভব, এজন্য প্রয়োজনে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করবো।”
রুবেল//দৈনিক দেশতথ্য//অক্টোবর ১৯,২০২৩//

Discussion about this post