কুষ্টিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে। এই হামলায় একই পরিবারের দুই ভাইকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে প্রতিপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ০১ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) আনুমানিক বেলা ১২ টার সময় আড়পাড়া গ্রামের ফসলী মাঠে জমির সীমানা প্রাচীর (আইল) কাটাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই বাসিন্দা সালাউদ্দিন কাওছার ও কলম মন্ডলের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে দুইজন যে যার নিজ বাড়িতে চলে যায়। পরবর্তীতে দুপুর আনুমানিক ২ টার সময় একই এলাকার মৃত শবদ আলী মণ্ডলের ছেলে কলম মন্ডল (৫৫), কমল মন্ডলের ছেলে বজলুর রহমান (২৬), মৃত. ইন্তাজ আলী মন্ডলের ছেলে শামসেল মন্ডল (৫২), শামসেল মন্ডলের ছেলে নাজমুল মন্ডল (২৪) ও সলেমান মন্ডল (২৮) সহ ১৫/২০ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সালাউদ্দিন কাওছারের বাড়িতে আচমকা প্রবেশ করে তার উপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এ সময় তার আপন ভাই নোয়াজেস উদ্দিন কাওছার ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তার উপরেও হামলা চালায়। পরবর্তীতে পরিবারের এক সদস্য ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে স্থানীয় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে পুলিশ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সহায়তায় হামলার শিকার মারাত্মক আহত দুই ভাই সালাউদ্দিন কাওছার ও নোয়াজেস উদ্দিন কাওছারকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা আহত সালাউদ্দিন কাওছারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালশিরা জখম থাকায় তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান শেষে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন এবং ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে বলেন। অন্যদিকে চিকিৎসকরা নোয়াজেস উদ্দিন কাওছারের আঘাত গুরুতর হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দেখতে পান তার ডান হাত ভেঙে গিয়েছে। তার ডান হাতে প্লাস্টার করা হয়।

এলাকাবাসীরা জানান, কলম মন্ডল ও তার পেটুয়া বাহিনীর সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চলেছে। কারনে অকারনে মানুষের উপর নির্যাতন করা তাদের নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা কমল মন্ডল ও তার পেটুয়া বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এই বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম গিয়েছিলো। আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Discussion about this post