কোরবানির আগের জমে উঠেছে দা-ছুরি ও বটি-চাপাতির বাজার। মাংস কাটতে অনেকে ধার দিচ্ছেন পুরনো দা-বটি। বিখ্যাত তেঁতুল কাঠের খাইট্টা, পাটি ও খড় বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। কোরবানির পশুর মাংস কাটতে প্রস্তুত আছেন কসাইরাও। এবার এক লাখ টাকার গরুর চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটতে ১৫ হাজার টাকা হাঁকছেন রাজধানীর কসাইরা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কামারপট্টিতে ছুরি, চাপাতি, দা-বটির দোকানগুলোতে হাতুড়ি দিয়ে লোহা পেটানোর টুং টাং শব্দ আর শান দেওয়ার তীক্ষ্ণ আওয়াজও বলে দিচ্ছে ঈদের দিন ঘনিয়ে এসেছে।
কামারপট্টির দোকানগুলোতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বাহারি ডিজাইনের পশু জবাই ও মাংস কাটার নানা সরঞ্জাম। এসব দোকানে দেড়শ’ টাকা থেকে শুরু করে দেড় হাজার টাকার ছুরি পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে আবার পুরনো ছুরিটিও নতুন করে শান দিয়ে নিচ্ছেন।
এক ক্রেতা বলেন, যে ছুরি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় কিনেছি। সেটি এখন চাচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা।
এক বিক্রেতা বলেন, চাপাতি স্প্রিংয়েরটা নিলে দাম পড়বে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। নরমালটা ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, ভালো ছুরি রেতেরটা ৩০০ টাকা পিস। নরমালগুলা দাম পড়ে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
বাজারে মাংস কাটার জন্য খাইট্টার সরবরাহও প্রচুর। সে তুলনায় ক্রেতা কম। আকারভেদে দাম পড়বে একশো থেকে হাজার টাকা। এক মুঠো খড় ২০ টাকায়। বাঁশ চাছা পাটি আড়াইশো টাকা।
এক ক্রেতা বলেন, দাম একটু চড়া। তবে হাতের নাগালে পাওয়া যাচ্ছে।
কোরবানির দেওয়ার জন্য শহরবাসীর নজর একজন দক্ষ কসাইয়ের ওপর। সেই সুযোগে এবার কসাইরা তাদের মজুরি বাড়াতে চাচ্ছেন। তাদের অবদার, লাখ টাকার গরুর মাংস কাটতে কুরবানিদাতাকে খরচ করতে হবে প্রায় ১৫ হাজার টাকা।
এক কসাই বলেন, এক গরু যদি ২০ হাজার টাকায় কিনেন, হাজারে দেড়শ’ বা দুইশো টাকা করে দিতে হবে। গরুর দাম এক লাখ হলে ১৫ আজার টাকা মজুরি আসবে।
আরেক কসাই বলেন, কোনো গুরুতে হাজারে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। দাম বেশি কই? ঈদের দিন একদিন। সারা বছর কষ্ট করি, একদিনের জন্য নেই।
কোরবানির গরুর খাবারের ভুসি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
জা/দেশতথ্য//০৯-০৭-২০২২//০৪.১২ পিএম

Discussion about this post