উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জামালপুরের পাঁচ উপজেলার নিম্ন অঞ্চলের ১১৯০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ৫টি উপজেলার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যমুনার পানি কয়েকদিন ধরে বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ১১৯০হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সারা জেলায় আমন ধান ৭২১হেক্টর, মরিচ ১৪৩হেক্টর, পেঁয়াজ ২১হেক্টর, ভুট্টা ১৭৫হেক্টর, মাশকলাই ৭৭হেক্টর, শাক-সবজি ৫৬হেক্টও ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে। জেলার সদর উপজেলা, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ি উপজেলায় নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
সরিষাবাড়ি উপজেলার কৃষক সেকান্দর আলী বলেন, এমন অসময়ে নদীর পানি বাড়ায় ৭৭শতাংশ ক্ষেতের ধান তলিয়ে গেছে। অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো। আরেক ধান না আসা পর্যন্ত কিভাবে চলবো। না খেয়ে মরতে হবে।
ঘোষের পাড়া এলাকার নূরু মিয়া জানান, আমার ধান ও মরিচ ক্ষেত মিলে ৩বিঘা জমি তলিয়ে গেছে। ধান আর মরিচ থেকে যে উপার্জন হয় তা দিয়েই সংসার চলে। পানি নেমে যাবার পরে ওই ক্ষেতে কোন ফসল করার মত উপায় এখন তো আর নেই।
টোপকারচর এলাকার কৃষক নরুল ইসলাম বলেন, মরিচ ও পেয়াঁজের ক্ষেতে পানি ঢুকলে সেই ক্ষেত আর থাকে না। পানি ঢুকার সাথে সাথে মরিচা গাছ মরতে শুরু করে। পেঁয়াজ গাছ পঁচতে থাকে। সম্পূর্ণ ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানি নেমে গেল সম্পূর্ণ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টের পানি পরিমাপক আব্দুল মান্নান বলেন, পানি ইতিমধ্যে কমতে শুরু করেছে। বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আপাতত পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
জামালপুর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জাকিয়া সুলতানা বলেন, হঠাৎ করে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৫টি উপজেলার নিন্ম অঞ্চলের ১১৯০হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি নেমে গেলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।
জা//দৈনিক দেশতথ্য//১৯ অক্টোবর ২০২২//

Discussion about this post