জামালপুরের মাদারগঞ্জে অরবিন্দ ঘোষ নামের এক কৃষকের বাড়ীতে সরকারি বোরোধান বীজ নিয়ে মজুদ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
এতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকরা বীজ না পাওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
তবে কর্তৃপক্ষের দাবি কৃষি অফিসের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় স্থানীয় এই কৃষকের বাড়ীতে মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানান তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অরবিন্দ ঘোষের বাড়িতে ২০ বস্তা সরকারি বীজ মজুদ রাখা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সরজমিনে ঐ কৃষকের বাড়ীতে গিয়ে দেখা গেছে কৃষক অরবিন্দ ঘোষের বসত বাড়ির বারান্দায় মজুদ করে রাখা হয়েছে বোরোধান বীজের অন্তত পাঁচটি বস্তা।
তবে কৃষি অফিসার শাহাদুল ইসলাম বলছেন এই বীজ গুলো সরকারি না, আমার নিজস্ব অর্থ দিয়ে কেনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সঠিক সময়ে সরকারি বীজ সর্বরাহ না হওয়ায় এই বীজ কিনতে হয়েছে। পরে সরকারি বীজ অধিদপ্তর থেকে পাঠানো হলে তা সংরক্ষণের জন্য কৃষি অফিসের পর্যাপ্ত জায়গায় না থাকায় স্থানীয় এই কৃষকের বাড়ীতে মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সরকারি বীজ মজুদ সম্পর্কে জানতে চাইলে কৃষক অরবিন্দ ঘোষ বলেন, এই বীজ গুলো উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বোরো প্রদশনীর জন্য আমাকে দেওয়া হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত মজুদের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি বাজার থেকে কিনে বোরোধান বীজ রুপন করায় এই বীজ গুলো বেশি হয়েছে। আগামী বছর এই বীজ বপন করা হবে।
এবিষয়ে জামালপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা বলেন, প্রতি বছর রবি মৌসুমে বোরো ধানের উচ্চ ফলনশীলের জন্য উন্নত জাতের বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার সহায়তা প্রদান কর্মসূচির আওতায় বোরোধান সহ গম,ভুট্টা বীজ বিতরণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আপনার যে কেয়ারিটা আমি যদি প্যাসিফিক মাঠে না যায় তাহলে আমার জন্য উত্তরটা দেওয়া কঠিন। তবে বীজ সংগ্রহ, সংরক্ষণ আমাদের আইনগত অধিকার আছে, কিন্তু মোড়কী করার অধিকার সবার নেই। তিনি বিষয়টি সম্পর্কে সরজমিন তন্তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/