Print Date & Time : 26 August 2025 Tuesday 1:41 am

জামালপুরে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

রোমান আহমেদ, জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাজরাবাড়ী পৌরসভার গুজামানিকা এলাকায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দিদারুল ইসলাম মেলান্দহ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগকারী দিদারুল ইসলাম (৩৭) ওই এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে।

অভিযুক্তরা হলেন, গুজামানিকা এলাকার মৃত কোরবান আলীর ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম ছক্কু (৩৮) ওয়াসিম উদ্দিন (৫০), রফিকুল ইসলাম (৪২), মোছাঃ সুফি বেগম (৪৮)।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামীগণ একদল ভুক্ত সন্ত্রাসী, তফসিল বর্নিত ভূমি আমার পৈত্রিক সম্পদ। তফসিল ভুমি সংক্রান্তে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা হয়। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত আমাদের পক্ষে রায় ঘোষনা করে। দীর্ঘদিনি যাবৎ তফসিল বর্নিত ভূমি চাষাবাদ করিয়া ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি। বিবাদীগণ তফসিল বর্ণিত ভূমি জোর পূর্বক ভাবে বেদখল করার জন্য পায়তারা করিয়া আসিতে থাকা অবস্থায় সুযোগ সন্ধানে থাকিয়া গত ২৮/০৪/২০২৫ তারিখে বিকালে মেলান্দহধীন পর্ব গুজমানিকা মৌজাস্থ আমার তফসিল বর্ণিত ভূমি জোর পূর্বক ভাবে বেদখল করার জন্য দেশীয় অস্ত্র দা, লঠি নিয়া জমিতে উপস্থিত হয়। বিবাদীগণদের উপস্থিতি টের পাইয়া আমি ঘটনা স্থলে আগাইয়া গেলে বিবাদীগণ আমার সাথে অসামাজিক ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমি তার প্রতিবাদ করিলে বিবাদীগণ আমাকে মারার জন্য আগাইয়া আসিলে বিবাদীগণদের ভয়ে ডাক চিৎকার দিয়া নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেই।
ভূমির বর্ননা, মৌজা-গুজামানিকা, খতিয়ান নং-৪৮-২দাগ নং-৯৪২/৯৪৩, জমির পরিমান- ৫৬ (ছাপ্পান্ন শতাংশ)।

ভুক্তভোগী দিদারুল ইসলাম বলেন, পৈত্রিক সূত্রে এ জমি আমাদের। দীর্ঘদিন আদালতে মামলা চলার পরে আমাদের পক্ষে আদালত রায় দিয়েছে। আদালতের রায়ের ওপর তারা আপিল করলেও তাদের আপিল বাতিল করেছে এবং আসামিদের চিরদিনের জন্য ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সেই জোরপূর্বক দখল করে গাছ লাগিয়েছে। আমি বাধা দিতে গেলে আমাদের হুমকি দেয়। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি এ ঘটনার সুস্থ সমাধান চাই।

এবিষয়ে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ছক্কু বলেন, দীর্ঘদিন ওরা ভোগ দখল করে খাইছে। সরকার পতনের পরে জমি ভোগদখল করে খাইতাছি। এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মামলা চলছে আমরা আদালতের ডিগ্রী পাইছি।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।