রোমান আহমেদ, জামালপুর : জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় আজ থেকে সপ্তাহব্যাপী ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ বুধবার (১৫ জুন) থেকে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে জনশুমারী ও গৃহগণনা কাজ শুরু হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী এই জনশুমারী শেষ হবে ২১ জুন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জনশুমারী ও গৃহগণনা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। শুমারি শুরুর আগে ১৪ জুন রাত ১২টাকে ‘শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট/সময়’ হিসেবে ধার্য করা হয়েছে।
জানা যায়, এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে জন শুমারি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।একটি ওয়েব ভিত্তিক ইনটিগ্রেটেড সেনসাসপম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইসিএমএস) প্রস্তুতসহ জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমে (জিআইএস) গণনা এলাকার কন্ট্রোল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে।
জনশুমারি তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে শুমারি কর্মী হিসেবে সারাদেশে ন্যায় মেলান্দহেও সুপার ভাইজার ও গণনাকারী এ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত আছেন।
জনশুমারী এবং গৃহগননা উপলক্ষে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে সুপারভাইজার ও গননাকারীদের প্রশিক্ষনও সম্পন্ন হয়েছে। সে সাথে গননা কারীদের হাতে ডিজিটাল ট্যাব,টি-শার্টসহ প্রয়োজনীয় উপকরন সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। মেলান্দহ উপজেলায় এই প্রশিক্ষন দেন- সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাসুদ আলম। তারা হাতে কলমে ও পর্দার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম বুঝিয়ে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা শুমারী সমন্বয়ক শফিকুল ইসলাম জানান, মেলান্দহে জনশুমারী-গৃহগননাকাজে নিয়োজিত গনণাকারী রয়েছেন- ৮শত ২৫জন ও সুপারভাইজার রয়েছেন ১শত ৫৩জন।তিনি আরও জানান, এই প্রথম দেশে ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা কাজ চলছে। তাদের কোন প্রকার সমস্যা হচ্ছে কি না তাই এই কাজের সাথে জড়িত সকল সুপারভাইজার ও গণনাকারীদের খোজ নেয়া হচ্ছে। তারা সঠিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজে জাড়িত তথ্য সংগ্রহকারী তারেক হাসান বলেন, সকলের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৪৫টি প্রশ্নের তথ্য সম্বলিত ছক পূরণ করা হচ্ছে। নাম, জেলার নাম, বয়স, কর্মক্ষেত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা, মোবাইল নম্বর, ব্যাংক একাউন্টসহ প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এইবার ডিজিটাল হওয়ায় কাজ করতে খুবই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//