Print Date & Time : 11 May 2025 Sunday 4:18 am

জামালপুরে দুই মরদেহ উদ্ধার

রোমান আহমেদ, জামালপুর : জামালপুরের মেলান্দহে চায়না বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূ ও আনিছুর রহমান নামে (২৩) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে মেলান্দহ থানা পুলিশ।

শনিবার (৭ মে) সকালে উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের পাহাড়িপটল গ্রামে শ্বশুরবাড়ির রান্নাঘরে ঝুলন্ত গৃহবধূ চায়না বেগমের লাশ পাওয়া যায় ও আজ দুপুরে নিজ বাড়ির পাশের গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় আনিছের লাশ পাওয়া যায়।

নিহত চায়না বেগম মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের পাহাড়ীপটল গ্রামের লেমন মিয়ার স্ত্রী ও মাদারগঞ্জ উপজেলার শ্যামগঞ্জ কালিবাড়ি এলাকার সোহরাব আলীর মেয়ে।

নিহত আনিছ একই উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের কাজাইকাটা গ্রামের শরবেশ আলীর ছেলে। পেশায় ভেকু চালক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, লেমন মিয়া ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানির চাকরি ছেড়ে বেশকিছু দিন ধরে বাড়িতেই থাকতেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রায়ই তার স্বামী তাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন। আজ সকালে চায়নাকে রান্না ঘরে ঝুলে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। এ সময় তার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি কেউ বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে মেলান্দহ থানা পুলিশ দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

অপরদিকে একই দিন দুপুরে শ্যামপুর ইউনিয়নের কাজাইকাটা গ্রামের নিজ বাড়ির পাশে মেহগনি গাছের ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় আনিছের মরদেহ উদ্ধার করেছে মেলান্দহ থানা পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার গায়ে কোন আঘাতের ক্ষত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহটিও মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূ চায়না বেগমের গায়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এতে চায়না বেগম ও আনিছের মৃত্যুর ঘটনাটিকে রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। মরদেহ দুটি জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারন সম্পর্কে জানা যাবে। এ ব্যাপারে থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

দৈনিক দেশতথ্য//এল//