রোমান আহমেদ, জামালপুর :
জামালপুর শহরের চাপাতলা ঘাট এলাকায় সড়কের পাশে স্থাপনা উচ্ছেদ করায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাবসায়ীরা।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের চাপাতলা ঘাট এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
ভূক্তভোগীরা জানান, উচ্ছেদকৃত স্থাপনার জমি অবৈধ নয়।এমনকি জমিও জামালপুর পৌরসভার নয়। শেরপুর জেলার অর্ন্তভুক্ত ওই জমির বৈধ মালিক নিজেদের দাবি করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত পাট ব্যবসায়ী মাজেদুল ইসলাম সাত্তার, গোলাম মোস্তফা, আব্দুল জব্বার, আমিনুল ইসলাম শান্ত।
এর আগে রোববার দুপুরে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিবাদমান জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এ সময় উচ্ছেদ করা হয় বেশকটি পাটের গোডাউন, ফার্নিচারের দোকানসহ নানা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, জামালপুর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রোববার দুপুরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্তু শহরের চাপাতলা এলাকায় আমার ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। বিনা নোটিশে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করলে প্রথমে আমরা বাধা দিলেও পরে সেখানে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বুলডোজার দিয়ে প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেয় যা সম্পূর্ণ অবৈধ। জায়গাটি জামালপুর পৌরসভার নয়, শেরপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত। কিভাবে জামালপুর পৌরসভা ওই জায়গাটির স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলো তা আমার জানা নেই। এই জায়গার দলিল রয়েছে। রেকর্ড ও নামজারি হয়েছে। নিয়মিত ভুমি কর (খাজনা) দিয়ে আসছি।
তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ভূমি, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও জামালপুর পৌরসভার মেয়রকে বিবাদী করে শেরপুরে আদালতে এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা আছে। কোনো আইনের তোয়াক্কা না করে জামালপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। এ উচ্ছেদ অভিযানে আমার কয়েকটি পাটের গুদামসহ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তছনছ করে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে।
এ ব্যাপারে জামালপুর পৌরসভার সচিব মো. হাফিজুর রহমান বলেন, শহরের যানজট নিরসনে বাইপাস রোডের লিংক রোড প্রশস্ত করার জন্য জনস্বার্থেই এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এবিষয়ে মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু বলেন, শহরের যানজট নিরসনে ব্রহ্মপুত্র পাড়ে বাইপাস সড়কের লিংক রোডের সড়ক প্রশস্ত করার জন্য সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে। চলমান অভিযানের এরই অংশ হিসেবে আজ রোববার তমালতলা ও চাপাতলা ঘাটে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
উচ্ছেদকৃত জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন বিষয়ে মেয়র মো. ছানোয়ার হোসেন ছানু জানান, শহরবাসীর চলাচলে দুর্ভোগ লাগবের জন্যই উচ্ছেদ অভিযান করেছি। এ জমি নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকলে তা আইনিভাবেই মোকাবেলা করা হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post