গোফরান পলাশ, কলাপাড়া: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় যুবককে হাত-পায়ের রগ কেটে, উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়ে বাদীর বসত ঘরে হামলা, ভাঙচুর সহ কুপিয়ে তছনছ
করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া জামিন খরচ বাবদ ১ লক্ষ টাকা চাঁদা প্রদানের দাবিতে বাদীর পরিবারের সদস্যদের অস্ত্র উঁচিয়ে ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ আমলে নিয়ে ওসি, কলাপাড়া থানাকে এজাহার গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭জুলাই) দুপুরে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত ভিকটিম ইব্রাহিম আহসান শাওনের নালিশী মামলা আমলে নিয়ে এ আদেশ প্রদান করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো: মাহবুব মিয়া আদালতের এ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় বলা হয়, হত্যা চেষ্টার মামলা (জিআর-২০০/২৩) কলাপাড়া থানায় এজাহারভুক্ত হওয়ার পর কাউন্সিলর জুকু-খালিদ ও তাদের সহযোগীরা বিগত ২৫ জুলাই মাহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারপতি শেখ মো: জাকির হোসেন ও মাননীয় বিচারপতি একেএম জহিরুল হক মহোদয়ের বেঞ্চ থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করে। অত:পর ২৭ জুলাই রাত অনুমান ২:৪০ মিনিটের দিকে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাদীর বসত ঘরের সামনের দরজা ভেঙ্গে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে বাদীকে খুঁজতে শুরু করে। বাদীকে না পেয়ে
আসামিরা ঘরের আসবাব পত্র ভেঙ্গে ও টিনের বেড়া কুপিয়ে ক্ষতিসাধন করে। এসময় আসামিরা বাদীর পরিবারের সদস্যদের অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন নিতে ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বলে বাদীর পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না পেলে এবং বাদী আসামীদের নামের বর্নিত মামলা প্রত্যাহার করে না নিলে তাকে প্রানে মেরে ফেলা সহ ঘর থেকে সড়কে বের না হতে হুমকী প্রদর্শন করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় আরও বলা হয়, ঘটনার পর পর বাদী কলাপাড়া থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত
করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করে ও ছবি তুলে নেয়। বর্তমানে
পুরো পরিবার সহ বাদীর পরিবার নিরাপত্তাহীন।
গনমাধ্যমকে শাওন বলেন, ’আমার উপর জুকু-খালিদ বাহিনী যে জঘন্য পৈচাশিকতা
চালিয়েছে ১০ বছর পর হলেও আমি এর বিচারের জন্য আদালতে মামলা করেছি। উচ্চ
আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে আজ আবার তারা আমার বসতঘরে হামলা চালিয়েছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর খায়রুল হাসনাত খালিদ বলেন, ’আমাদের জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা একের পর এক আমাদের জড়িয়ে মিথ্যা মামলা করছে। কারো বসত ঘরে হামলা করার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি তার।’
কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহমেদ বলেন, ’ঘটনার পর পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। টিনের বেড়ায় কোপের চিহ্ন দেখা গেছে। তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে। আদালতের আদেশ প্রাপ্তির পর পরবর্তী আইনী কার্যক্রম গ্রহন করা হবে বলে জানান ওসি।’
দৈনিক দেশতথ্য//এস//

Discussion about this post