রাশেদুজ্জামান,জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ :
প্রথমবারের মতো জিরা চাষ করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নওগাঁর জহুরুল।নিত্যনতুন ফসল উৎপাদন করে এক প্রকার আনন্দ পান নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের শিয়ালা গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম বাদল।
এর আগে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেছেন তিনি তবে বাজারে জিরার দাম বেশি হওয়ায় জিরা চাষে উদ্বুদ্ধ হন তিনি।
পরবর্তীতে ইউটিউবে জিরা চাষের পদ্ধতি দেখে দুই মাস আগে শুরু করেন জিরা চাষ,অনলাইনের মাধ্যমে জিরার বীজ সংগ্রহ করে আট শতাংশ জমিতে শুরু করেন জিরা চাষ।
জিরা চাষে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে মাত্র দুই হাজার টাকা,বর্তমানে এই কৃষকের জিরা গাছে আসতে শুরু করেছে ফুল ও জিরা,আট শতাংশ জমিতে আবাদ করা ফসল থেকে কমপক্ষে বারো কেজি জিরা উৎপাদিত হবে বলে আশাবাদী জহুরুল ইসলাম।
পরিক্ষামুলক ভাবে জিরা চাষ করে জহুরুল অনেকটা সফল হওয়ায় অনেকটা আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় কৃষকদের,প্রতিদিন তার জমিতে এসে বীজ ও পরামর্শ নিচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা,সাধারণত বীজ বপনের তিন থেকে সাড়ে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগে জিরা ঘরে তুলতে।
জহুরুলের এ জিরা চাষে সফলতা আসলে সর্বস্তরের কৃষকদের জিরা চাষে উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে,নতুন ফসল হিসাবে জহুরুল জিরা পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেছেন। তার জিরা চাষ কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক নজরে রেখেছে। শেষ পর্যন্ত এটার ফলন কেমন হয় সেটা দেখে অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করা হবে এবং সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হবে বলেও জানিয়েছেন, নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।
দেশের জিরার চাহিদা আমদানি নির্ভরশীল হওয়ায় বাংলাদেশে উৎপাদিত জিরা হতে পারে মুল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা বাচানোর উন্নতম মাধ্যম এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//