Print Date & Time : 4 May 2025 Sunday 12:57 am

জুন নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে : গভর্নর

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, “চলতি অর্থ বছরের (২০২৪-২০২৫) শেষ মাস জুন নাগাদ মূল্যফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশ এবং আগামী বছর নাগাদ ৫ শতাংশে নেমে আসবে।”

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) চলতি অর্থ বছরের শেষ ছয় মাসের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে গভর্নর এ কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, “প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে জানুয়ারি নাগাদ মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতির বিবৃতি অনুযায়ী, এর মূল লক্ষ্যগুলো হলো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারকে স্থিতিশীল করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো এবং ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণ পরিস্থিতির সমাধান করা।

মুদ্রানীতিতে রেপো রেট হিসেবে পরিচিত নীতি সুদহার ১০ শতাংশই রাখা হয়েছে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি গত দুই মাসে মূল্যস্ফীতির হার নিম্নগামী থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক যে নীতি সুদহার আরও বাড়িয়ে টাকার জোগানকে আরও ব্যয়বহুল করতে চায়নি, রেপো অপরিবর্তিত রাখার ঘটনাই তা উঠে এসেছে।

মুদ্রানীতি অনুযায়ী, অর্থ বছরের শেষ ছয় মাসে স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) বা ঋণ বিতরণে সুদহার ১১.৫ শতাংশ থাকবে, অন্যদিকে স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) রেট বা আমানতে সুদহার সাড়ে ৮ শতাংশ থাকছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বেশকিছু ঝুঁকির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে মুদ্রানীতিতে। যার মধ্যে বিভিন্ন আঞ্চলিক সংঘাতের প্রভাব, আর্থিক বাজারের অস্থিতিশীলতার কথা বলা হয়েছে, যা বৈদেশিক ঋণ বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। বড় অর্থনীতিগুলোর সংরক্ষণবাদী বাণিজ্যনীতির কারণেও ঝুঁকি রয়েছে।

দৃঢ় নীতিগত অবস্থান ও প্রধান অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতির হার কমানো যাবে বলে আশা করছেন গভর্নর।

তিনি বলেন, আগামী জুনের মধ্যেই ৭ থেকে ৮ শতাংশের পর্যায়ে নামিয়ে আনাও সম্ভব হতে পারে।

অপরিবর্তিত থাকবে বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা। বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯.৮ শতাংশ। চলতি অর্থ বছরের প্রথমার্ধেও একই লক্ষ্যমাত্রা (৯.৮ শতাংশ) ছিল। আর সরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৭.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগের মুদ্রানীতিতে সরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪.২ শতাংশ।
ম/দৈনিক দেশতথ্য//