পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) সংবাদদাতা : লালমনিরহাটের বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে সরাসরি আন্তনগর ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন’ চালুর দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচী সোমবার রাতে হাতীবান্ধা উপজেলার আন্দোলনকারীরা স্থগিত করার পরদিন মঙ্গলবার অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন পাটগ্রাম উপজেলার আন্দোলনকারীরা।
সরাসরি বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে এ দুটি ট্রেন চালুর দাবিতে গত ২১ এপ্রিল থেকে টানা রেলপথ অবরোধের পাশাপাশি রোববার (২৭ এপ্রিল) হাতীবান্ধা ও সোমবার (২৮ এপ্রিল) থেকে পাটগ্রামে অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়কপথ অবরোধ শুরু করা হয়। দুই দিন পর জেলা প্রশাসনে প্রতিনিধি দল উভয় সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে এ আন্দোলন প্রত্যাহার করান।
অবরোধ উভয় উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নিয়ে রেললাইন এবং মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছিল। এতে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর-পাটগ্রাম, সরকারি কলেজ মোড়, সরেঅর বাজার, বাউরা বাজার এলাকা ও হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা, মিলন বাজার, খানের বাজার এবং মেডিকেল মোড় থেকে কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী এলাকাসহ মহাসড়কের প্রায় ৪০ কিলোমিটার জুড়ে আটকে আছে শত শত পণ্যবাহী ও খালি গাড়ি আটকে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
হাতীবান্ধা উপজেলার আন্দোলনকারীদের সাথে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহাবুবুর রহমানের নের্তৃত্বে জেলা প্রশাসকের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনা করেন। দীর্ঘ সময় আলোচনা শেষে রাত সাড়ে ১০ টায় অবরোধ কর্মসূচী স্থগিত করেন হাতীবান্ধার আন্দোলনকারীগণ।
অপরদিকে পাটগ্রাম উপজেলার আন্দোলনকারীরা অবরোধ চালিয়ে যেতে থাকেন। অবরোধ প্রত্যাহারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জি আর সারওয়ারের নের্তত্বে জেলা প্রশাসকের একটি প্রতিনিধি দল এ উপজেলার আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনায় বসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পাটগ্রাম ইউএনও জিল্লুর রহমান, থানার ওসি আশরাফুজ্জামান সরকার, পৌর বিএনপির সভাপতি মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল, বুড়িমারী এক্সপ্রেস বাস্তবায়ন সংগ্রাম উন্নয়ন পরিষদের আহ্বায়ক এ টি জে সিদ্দিকী কাকন ও সদস্য সচিব আকবর বিন আফছার প্রমুখ।
আলোচনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক- রেলওয়ে ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন দ্রুত সরাসরি বুড়িমারী থেকে চালুর আশ্বাস দেন। চালু না হওয়া পর্যন্ত বিশেষ শাটল সার্ভিস ট্রেন (বুড়িমারী এক্সপ্রেস-০২) চালু রাখার আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা বিশেষ শাটল সার্ভিস ট্রেন (বুড়িমারী এক্সপ্রেস-০২) আগামী এক মাসের মধ্যে চালু না করা হলে আবারো কঠোর আন্দোলন করবেন বলে জানান।