ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ধোপাবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩জন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারি নিয়োগকে কেন্দ্র করে ঘুষ বাণিজ্য ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এরই মধ্যে নিয়োগ স্থগিতের জন্য জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ডিজির প্রতিনিধি, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন কুমড়াবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম।
অভিযোগে জানা যায়, ধোপাবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ জন নিরাপত্তা কর্মী, ১ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও ১ জন আয়া নিয়োগ দেওয়ার জন্য গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কুমড়াবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল করিম, সাবেক সভাপতি বহিস্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হক প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন যোগসাজস করে ২৪ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের চেষ্টা করেছে। ইতিমধ্যে জনপ্রতি ৮ লাখ টাকা নিয়ে সাগর লস্করকে নিরাপত্তা কর্মী, হাসান আল মামুনকে পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও ঈশিতা খাতুনকে আয়া পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। ৩ জনের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়েছেন চেয়ারম্যান সিরাজুল করিম, বহিস্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হক ও প্রধান শিক্ষক। এতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে অন্যান্য প্রার্থীদের মাঝে।
অভিযোগকারী আশরাফুল ইসলাম বলেন, গুরু শামসুল হক ও শিষ্য সিরাজুল ইসলাম এই বাণিজ্যের মুল হোতা। তারা নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই নিয়োগ বাণিজ্যের চেষ্টা করেছে। আমরা চাই এই নিয়োগে অনিয়ম ও অভিযোগ থাকায় নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে পরবর্তীতে স্বচ্ছতার সাথে কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হোক। সেই সাথে যারা এই বাণিজ্য করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কুমড়াবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল করিম বলেন, নিয়োগ স্থগিত আছে। আমার বিরুদ্ধে সাবেক চেয়ারম্যান মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বেড়াচ্ছে। যার কোন সত্যতা নেই।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মনিরুল ইসলাম কর্মকর্তা, নিয়োগ সম্পর্কে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Discussion about this post