Print Date & Time : 22 September 2025 Monday 11:44 am

ঝিনাইদহের পাঁচ উপজেলায় বন্ধ সিজারিয়ান অপারেশন, ভোগান্তিতে প্রসূতিরা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে সিজারিয়ান অপারেশন।
মহেশপুর, হরিণাকুন্ডু, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুরে দীর্ঘদিন ধরে এ সেবা বন্ধ থাকায় প্রসূতিদের বাধ্য হয়ে ছুটতে হচ্ছে দূরের বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে। এতে একদিকে বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয়, অন্যদিকে মা ও নবজাতক পড়ছেন চরম ঝুঁকিতে।
জানা গেছে, মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় এক বছর ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ। একই পরিস্থিতি অন্য চার উপজেলাতেও। এনেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ ও গাইনি চিকিৎসকের অভাবেই এ সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। অথচ হাসপাতালগুলোতে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার, স্যালাইন স্ট্যান্ডসহ সব সরঞ্জাম ব্যবহার উপযোগী অবস্থায় আছে।
প্রসূতি শিরিন আক্তার বলেন, “সরকারি হাসপাতালে গেলে খরচ কম হতো। কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে দূরের ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। তাতেও চিকিৎসক সবসময় থাকেন না।”
কালীগঞ্জের কৃষক রহমত আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকারি হাসপাতালেই যদি চিকিৎসা না পাই, তাহলে আমরা যাব কোথায়? ডাক্তার না দিলে গরিব মানুষ আরও বিপদে পড়বে।”
হরিণাকুন্ডুর গৃহবধূ ফারজানা খাতুন জানান, “ক্লিনিকে গেলে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। গরিব মানুষ কীভাবে এই টাকা জোগাড় করবে? তারপরও বাধ্য হয়ে ক্লিনিকেই যেতে হচ্ছে।”
এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, “সব উপজেলাতেই অপারেশনের যন্ত্রপাতি রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক সংকট বড় সমস্যা। দ্রুত পদায়ন হলে আবারও সিজারিয়ান চালু করা সম্ভব হবে।”
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, চিকিৎসক থাকলে শুধু এই পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই প্রতি মাসে অন্তত ২০০ প্রসূতি সরকারি সেবা পেতেন। দীর্ঘদিন ধরে সিজারিয়ান বন্ধ থাকায় গরিব পরিবারগুলো চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।