Print Date & Time : 10 May 2025 Saturday 9:32 pm

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে বীর মুক্তিযোদ্ধা,সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার মকবুল হোসেন একজন জেলাবাসীর নিকট প্রিয় ব্যক্তি। তিনি ১৯৭১ সালে ভারত থেকে ট্রেনিং শেষে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন ও দেশ স্বাধীসে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেন। তিনি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। তার পিতার নাম মৃত আরশাদ আলী ও মাতা ছিকরন নেছা। তিনি ১৯৪৭ সালের ৩০ সেপ্টম্বর তারিখে শৈলকুপা উপজেলার হুদামাইলমারী গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি ১৯৬২ সাল থেকে ফুলহরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। ঝিনাইদহ মহকুমা ছাত্রলীগের ১৯৬৭-৬৮ সালে সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৬৮-৬৯ সালে মহকুমা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬৭-৬৮-৬৯ সালের ৬ দফা আন্দোলনের নেতৃত্বদেন। এছাড়া ১৯৭২-৭৭ সাল পর্যন্ত ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিত্বের দায়িত্ব পালন করেন।১৯৬৯ সালে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ১১ দফা আন্দোলন ও গন অভুথ্যানের মহকুমা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে মুসলীমলীগের অত্যাচারি জমিদারের আন্দোলন করেন এবং ১৯৬৮ সালে কৃষকের সকল দাবি আদায় করেন। তিনি স্বাধীরন বাংলা সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সাথে ৬ বার সরাসরি সাক্ষাত করার সুযোগ পান১৯৭৩ থেকে ৭৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ঝিনাইদহ জেলা শাখার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। যুদ্ধকালীন সময় তিনি শৈলকুপা থানায় মুজিব বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৩রা মার্চ ঝিনাইদহ স্বাধীন বাংলা পতাকা উত্তোলন করে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে অসহযোগী আন্দোলনের নেতৃত্বদেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষনের পর স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য যুব ও ছাত্রদের প্রস্তুত করে ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিষযখালী গাড়াগঞ্জ কুষ্টিয়া পর্যন্ত পাকিস্থানী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতত্বদেন। বাংলাদেশে প্রথম সকল জেলান মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ০৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস পালন করে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারে হত্যা করার পর সামরিক জান্তারা তাকে যশোর কারাগারে দীর্গদিন বন্দী রাখে। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে অংশ গ্রহন করেন। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি চত্বরে স্বশস্ত্র প্রশিক্ষন নেন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা ঝিনাইদহ জেলা ইউনিটির কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে বর্তমানে জড়িত আছেন। বর্তমানে ঝিনাইদহ ক্লাবের আজীবন সদস্য, ঝিনাইদহ জেলা প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সভাপতি, শৈলকুপা উন্নয়ন সমিতির আহ্বায়ক, ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক সমিতি, চক্ষুহাসপাতাল, বনিক সমিতির আজীবন সদস্য, ঝিনাইদহ জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সদস্য। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে থেকে নিস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এমন একজন সংগ্রামী দেশপ্রেমিক জনবান্ধব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোয়ন দিলে তিনি নিশ্চিত বিজয় হবেন। জেলা ও সর্বস্তরের মানুষের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করবেন বলে জেলা বাসী আশা করছে।

দৈনিক দেশতথ্য//এল//