পটুয়াখালী প্রতিনিধি : আমরা বাসা বাড়ি ছাড়া, বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতারা তো এখনো পটুয়াখালী আছে। তারা কি পয়সা দিতে পারে দেইখা পটুয়াখালী থাকতে পারে নিষিদ্ধ পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান বাদল।
বুধবার(২৫ এপ্রিল) ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা।
তিনি ফেসবুকের তার ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে ৭ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের লাইভে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “পটুয়াখালীর অন্য দলের লোকজন কেন বড় কোন নেতাদের মারে না বা তাদের বাসা বাড়িতে কেন হামলা করে না? সব সময় কেন ছাত্রলীগের উপর হামলা হইবে? আমাদের মত লোকজনের উপরে হামলা করবে আমাদের বাসা বাড়িতে হামলা করবে কেন? আমরা তো আওয়ামী লীগ থেকে একটা টাকাও ইনকাম করি নাই। বরং নিজেদের টাকা খরচ করে মিছিল মিটিং করেছি। ছাত্রলীগের যারা ছিল তারা কেউ ইনকাম করতে পারে নাই একমাত্র মূল প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি ছাড়া। যারা আমাদের মত নেতা আছে বা আমাদের থেকে ছোট আছে তাদের তো ছাত্রলীগ থেকে ২ পয়সার বেনিফিট হয় নাই। যারা বাসস্ট্যান্ড থেকে কোটি কোটি টাকা কামাইছে, যারা এলজিইডি থেকে কোটি কোটি টাকা কামাইছে, যারা পিডব্লিউডি থেকে কোটি কোটি টাকা কামাইছে , আপনারা এলজিডি পিডব্লিউডি তে যান, খোঁজ নেন কি কত টাকা কামাইছে, কে কয়টা কাজ পাইছে তাদেরকে হয়রানি করেন, তাদের বাসায় হামলা করেন, তাদের থেকে টাকা নেন। তাদেরকে মারেন। বাচ্চাদের উপরে হামলা করতে হবে কেন? আমাদের উপরে হামলা করতে হবে কেন? বড় বড় নেতারা শহরে রয়েছে বাসায় ঘুমাচ্ছে আমরা বাসা বাড়ি ছাড়া।
নিষিদ্ধ এই ছাত্রলীগ নেতা আরো বলেন, জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগের সভাপতি সেক্রেটারি সহ অনেক বড় নেতাদের বাসায় কোন হামলা হয়নি। আর আমরা বাসা বাড়ি ছাড়া। ৫ই আগস্ট এর আগে আমরা কোন ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কোন ধরনের ক্ষতি করিনি।
নিষিদ্ধ ঘোষিত জেলা ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান বাদলের এ সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব কাজী আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নানের সাথে মুঠো ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ব্যবহৃত নাম্বার বন্ধ পাওয়া গিয়েছে।