মোহাম্মদ সোহেল (টাঙ্গাইল) :টানা ভারি বর্ষণ পাহাড়ি ঢলে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীসহ নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
শুক্রবার (০৫ জুলাই) সকালে টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৩৮ সেন্টিমিটার সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার এবং ঝিনাই নদীর পানি কালিহাতীর জোকারচর পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরজমিনে দেখা যায়, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ভূঞাপুর, গোপালপুর, কালিহাতী, নাগরপুর ও মির্জাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে লোকায়গুলো পানি প্রবেশ করছে। ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী বাজারের কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে এবং চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছারা উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, অস্বাভাবিকহারে পানি বৃদ্ধিতে ফসলি জমি ও অসংখ্য ঘরবাড়িতে পানিতে তলিয়ে গেছে। গবাদি পশু নিয়ে ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। পানি বৃদ্ধির ফলে নিকরাইল গাবসারা এবং গোবিন্দ্যাসী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। গাবসারা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম আকন্দ শাপলা জনান, কালিপুর, মেঘারপটল, রেহাইগাবসারা, চন্ডিপুর, জয়পুর ও রুলীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার কৃষকের তিল, পাটসহ অন্যান্য ফলস তলিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত ১০-১৫ টি ঘরবাড়ি বিলীন এবং পানিবন্দি আড়াই’শ পরিবারের মানুষ। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে পুরো চর পানিবন্দি হয়ে যাবে। এলাকায় নিয়মিত খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ জানান, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকাগুলো পানি প্রবেশ করেছে এবং কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এনিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে। এসব মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ইতোমধ্যে তালিকা করা হচ্ছে এবং দ্রত ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়া ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//