তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: টিকটকে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এক কিশোরীর পরে বিয়ে করেও স্ত্রী’র মর্যাদা দিচ্ছেন না অভিযোগের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা মৌলভীবাজারে ছেলের বাড়িতে অনশনে বসেছে মেয়েটি।
সোমবার (২১শে এপ্রিল) সকাল অনুমান ৯টার দিকে ঐ মেয়ে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাটারাই গ্রামের আফতাব আলীর ছেলে ওয়াকিব আলী (১৯) তার স্ত্রী’র দাবি করে ছেলের বাড়িতে অনশনে বসে।
অনশনরত মেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার কান্দিপাড়া ভলাকুট এলাকার ফারুক মিয়ার মেয়ে হালিমা আক্তার (১৮)।
এ ব্যাপারে হালিমা আক্তার জানান- তার সঙ্গে টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে ওয়াকিব আলী। এরই ধারাবাহিকতায় তার সাথে ছেলের প্রেমের কথাবার্তা আদানপ্রদানের একপর্যায়ে বিয়ে করবে বলে চট্টগ্রামে উভয়ে বেড়াতে যায়।
সেখানে কোর্টে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নোটারী পাবলিকের কার্যালয়, চট্টগ্রামে বিবাহের যৌথ হলফনামামূলে ও কাজী অফিসে তাদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বলে দাবি করে। সে আরও জানায়- কয়েকদিন সেখানে থাকার পরে ছেলেটি তাকে না জানিয়ে অগোচরে চলে আসছে।
বর্তমানে ভুক্তভোগী অসহায় হয়ে স্ত্রী’র দাবি নিয়ে সে জানায়- তার পরিবারও তাকে মেনে নিচ্ছে না। কোনো সুরাহা না পেয়ে সে ছেলের বাড়িতে স্ত্রী’র দাবিতে এসেছে। এখানেও ছেলের পরিবারও তাকে মেনে নিচ্ছে না, তাই কোনো পথ না পেয়ে সে অনশনে বসেছে।
এ দিকে ছেলের বাবা আপ্তাব আলী জানান- গত মাসে ঈদের ৪দিন পরে আমার ছেলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়েছে। আমার ছেলের একটা ব্যবসা ছিলো, সেখান থেকে আড়াই-তিন লাখ টাকা নিয়ে সেদিন মাগরিবের পরে দোকান থেকে চলে গিয়েছে। এর পরে আর আসেনি। আমরাও জানি নাই কোথায় আছে বা সে কোথায় রয়েছে।
তবে, আজ থেকে ৫-৬ দিন আগে শুনছি মেয়েটি এলাকায় আসছিলো, কিছু মানুষ আমাকে বলেছিলো বাড়িতে তুলতে। কিন্তু তখন সে একা আসছিলো, মানুষ আমাকে বলেছিলো তাকে বাড়িতে তুলতে, এ সময় আমি বলেছি যে পুত্র আমার আড়াই-তিন লাখ টাকা ধ্বংস করে দিয়েছে তাকে আমার দরকার নাই। এই রকম ছেলে আমি ত্যাজ্যপুত্র করে দিয়েছি। বর্তমানে ছেলের খোঁজখবর আমি জানি না।
একপর্যায়ে তিনি আরও বলেন- মেয়ে শুনেছিলাম একটা আসছিলো, আমার বাড়ির বাহির হতে কোথায় গিয়েছে তাও জানি না। এব্যাপারে কেউ-ই আমার সঙ্গে কোন যোগাযোগ করে নাই।
এ ব্যাপারে উপজেলর খলিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আবু মিয়া চৌধুরী বলেন- পথিমধ্যে একটি মেয়ে এসে কান্নাকাটি করে বলেছে। এ সময় বিষয়টি সম্পূর্ণ শোনার ও বুঝার সময় ছিলোনা। মেয়েটিকে বলেছি থাকতে, আমি একটা বিচার শেষ করে এসে পরবর্তীতে বিষয়টি বিস্তারিত জানবো ও শুনবো। এ পর্যন্ত আমি অবগত আছি আমি।

Discussion about this post