মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সমিয়া আফরান প্রীতি হত্যাকাণ্ডের সমন্বয়ক সুমন শিকদার ওরফে মুসাকে ওমান থেকে দেশে আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে তাকে দেশে আনা হয়।
পুলিশ সদরদপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল বোর্ড সহকারী উপ-পরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ওমান পুলিশ ও আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলে মুসার সম্পর্কে তথ্য দেওয়া ছিলো। প্রথমে ইন্টারপোল মুসাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরে ওমান পুলিশের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করি। সব প্রক্রিয়া শেষে ওমান পুলিশ মুসাকে আমাদের হাতে তুলে দেয়।
এর আগে মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে রোববার বাংলাদেশ পুলিশের একটি দল ওমান যায়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ রাতে জাহিদুল ইসলাম টিপু মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুরের বাসায় ফিরছিলেন। ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে আসলে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে। এতে জাহিদুল ও তার ড্রাইভার গুলিবিদ্ধ হন। এসময় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পাশে রিকশায় থাকা বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতি গুলিবিদ্ধ হন। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন ২৫ মার্চ দুপুরের টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।
এ ঘটনায় ২৬ মার্চ রাতে বগুড়া থেকে শুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ওই ব্যক্তি টিপুকে গুলি করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুকসহ আরও চার জনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর এ ঘটনার সমন্বয়ক হিসেবে মুসার নাম বেরিয়ে আসে। তবে হত্যাকাণ্ডের আগেই সে চলে যায় দুবাই। পরে সেখান থেকে যান ওমানে।
জা//দেশতথ্য/০৯-০৬-২০২২//১২.০৪ পিএম

Discussion about this post