গোফরান পলাশ, কলাপাড়া: কুয়াকাটা পৌর এলাকায় সরকারী খাল ভরাট করে রাতের
আধাঁরে হাউজিং কোম্পানী ডিবিএল বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন
ইউএনও। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ শুক্রবার সকালে নির্বাহী
ম্যাজিষ্ট্রেট ও কলাপাড়া ইউএনও মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ডিবিএল কোম্পানীর
নির্মান কাজ বন্ধ করার পর সরকারি জমি চিহ্নিত করে লাল নিশান টানিয়ে দেন।
এসময় ডিবিএল কোম্পানির বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
এর আগে সরকারী খাল ভরাট করে ডিবিএল কোম্পনীর বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান কাজে
বাঁধা দিতে গেলে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তাদের সাথে অশোভন আচরণ করেন
দখলদাররা। এসময় সরকারী কর্মকর্তাদের দেখে নেয়ার হুমকী দেন তারা।
জানা যায়, কুয়াকাটা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মাঝি বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় ১ একর
৩২ শতাংশ সরকারি খাস জমি দখল করে রাতের আধাঁরে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ
করে দখলে নেয় হাউজিং কোম্পানী ডিবিএল। যে খাল আগে কুয়াকাটা শহরের পানি
নিষ্কাশনের কাজে ব্যবহৃত হতো। ওই খাল ভরাট করে দখলে নেয় ডিবিএল কোম্পানি।
স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তারা নির্মাণ কাজ
একাধিকবার বন্ধ করে দেয়। বাঁধা অমান্য করে প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় ওই
কোম্পানিটি রাতের আধাঁরে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করছিল। এই কোম্পানির
বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকার সরকারি জমি দখলের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ভুমি
কর্মকর্তারা।
স্থানীয় বারেক শরীফ,জাহিদ শরীফ, নজরুল শরীফ,ধলু খলিফা,আজিজ খলিফা’র
অভিযোগ, ডিবিএল কোম্পানি সরকারী খাল ভরাট করে
রাতের আধাঁরে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করছিল। এসময় তারা বাঁধা দিলে
তাদেরকে মামলা সহ বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখানো হয়।
মহিপুর ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাতে সরেজমিনে গিয়ে কাজ বন্ধ করতে বললে ওই
কোম্পানির সিকিউরিটি গার্ডসহ কয়েকজন অশোভন আচরণ করে এবং দেখে নেওয়ারহুমকি দেয়।
কলাপাড়া ইউএনও মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ডিবিএল কোম্পানি খাল ভরাট করে ১
একর ৩২ শতাংশ সরকারি খাস জমি দখল করে রাতের আধাঁরে বাউন্ডারি ওয়াল
নির্মাণ করে। বর্তমানে তাদের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ইউএনও আরও বলেন,
ডিবিএল কোম্পানি কোন অনুমোদন ছাড়াই বাউন্ডারি ওয়াল সহ জমির আকার আকৃতি
পরিবর্তন করেছে। যা সম্পুর্ণ অবৈধ। বর্তমানে ওই জমিতে লাল নিশান টানিয়ে
দেয়া হয়েছে। দখলকৃত খাল উদ্ধার করে পুন:রায় তার স্বরুপে ফিরিয়ে আনা হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post