শেখ দীন মাহমুদ, খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার ডুমুরিয়ার বহুলালোচিত সেই গ্রামপুলিশ সার্থিক দাসকে আবারও থানায় দায়েরকৃত পর্ণোগ্রাফির মামলায় প্রধান আসামি হয়েছে।
এক গৃহবধূর নগ্ন ছবি ধারণ করে অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রত্যাশা ও ওই ছবি ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে গৃহবধূর স্বামী মামলাটি দায়ের করেছেন।
অপরদিকে গ্রামবাসীরা তার অনৈতিক কার্যকলাপ, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও কুকর্মের প্রতিকার চেয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণী ও বিভিন্ন দপ্তরে দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের পশ্চিম দাসপাড়া এলাকার মৃত দুলাল দাসের ছেলে শোভনা ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত গ্রামপুলিশ সার্থিক দাস একই এলাকার জনৈক এক গৃহবধূকে ধর্ষণ, অপর আর এক গৃহবধূর নগ্ন ছবি ধারণ করে ভয় -ভীতি দেখিয়ে অনৈতিক কাজ, চাঁদা দাবিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা ও একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সর্বশেষ পর্ণোগ্রাফি মামলায় ঘটনার দিন গত ৫ আগষ্ট দুপুর ২টার দিকে নির্জনে এক বাড়িতে প্রবেশ করে ওই গ্রামপুলিশ জানালার ধারে অবস্থান নেয়। এরপর জানালার ফাঁক দিয়ে নিজ মোবাইলে গৃহবধূর গোসল ও কাপড় পাল্টানোর সময়ে নগ্ন দৃশ্য ধারণ করে ওই লম্পট। গৃহবধূ বিষয়টি টের পেলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরপর ওই গৃহবধূর ম্যাসেঞ্জারে নগ্ন ছবি পোস্ট দিয়ে তাকে ভয় দেখিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ ও চাঁদার দাবি করা হয়। তার এ কাজে সহযোগিতা করে মামলার অপর আসামি কেশব দাসের ছেলে সদাই দাস।
বিষয়টি গৃহবধূ প্রথমে তার স্বামী পরে আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে গত ২২ আগষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সেখ কনি মিয়া বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে, আসামিরা পলাতক রয়েছে তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//৩১ আগষ্ট-২০২২

Discussion about this post