মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা: তীব্র ঘন কুয়াশার কারনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ১৮ সড়ক দুর্ঘটনায় দুই জন নিহত ও কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন
আহতদের মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতাল, জামুর্কি সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
দূর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, নীলফামারী জেলার এল এস ডি পোট আউট স্টেশন রোড় এলাকার আশরাফুল আলমের ছেলে মোন্না (২৬) এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের আগছাওয়ালী গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে ফয়সাল মিয়া (৩৫)।
সড়ক দূর্ঘটনার কারনে এ মহাসড়কে তীব্র যানজট এবং দূর্ঘটনার কারনে অর্ধশত যানবাহনের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় যানজট নিরসনের জন্য মির্জাপুর, দেলদুয়ার, বাসাইল, টাঙ্গাইল সদর, বঙ্গবন্ধু সেতু থানা এবং কালিহাতী থানা পুলিশ, এলেঙ্গা ও গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং ট্রাফিক পুলিশ গতকাল বুধবার ভোর রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত নিরলস ভাবে কাজ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পরিবহন শ্রমিক এবং যাত্রীরা জানায়, তীব্র ঘন কুয়াশার কারনে বঙ্গবন্ধু সেতুর পুর্ব প্রান্ত থেকে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই অভার ব্রিজ পর্যন্ত বাস-ট্রাক, পিকআপ ও মাইক্রোবাসের মধ্যে একের পর এক সংঘর্ষ হয়। মহাসড়কের এলেঙ্গা, করটিয়া, বাঐখোলা, নাটিয়াপাড়া, জামুর্কি, কদিমধল্যা, ইচাইল, দুল্যা মনসুর, মির্জাপুর বাইপাস ও বাওয়ার কুমারজানি এলাকাসহ অন্তত ১৮ স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও শ্রমিক সুত্র জানায়, এসব দুর্ঘটনায় কমপক্ষে অর্ধশত যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি মোল্লা মো. টুটুল বলেন, তীব্র ঘন কুয়াশার কারনে এতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ইতিপুর্বে এক দিনে এত সড়ক দুর্ঘটনা কখনো হয়নি। পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে। নিহতদের লাশ আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post