Print Date & Time : 23 April 2025 Wednesday 4:45 am

তরুন উদ্যোক্তার কুলবাগানে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক

এসএম জামাল: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের কেউপুর গ্রামে তরুন উদ্যোক্তা  আবু সাইদ। সোমবার বিকালে তার কুল বাগান দেখতে গিয়ে ছিলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহুরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হারুন অর রশিদ, উপজেলা কৃষি অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন, দিশা কুষ্টিয়ার টেকনিক্যাল অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জিল্লুর রহমান, দিশা সংস্থার কৃষি অফিসার এনামুল হক,সাংবাদিক সুমন মাহমুদ ও এসএম জামালসহ উপ-সহকারীবৃন্দ।

আবু সাইদ একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা। উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে তার বাড়ি। অন্যের সাথে অংশীদারিত্বে পেয়ারা বাগান গড়ে তোলেন তিনি। ইউটিউবে কুল চাষে অনেকের সফলতা দেখে কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে তিনি পাশের গ্রামে ৭ বিঘা জমি লিজ নিয়ে তৈরী করেন কুল বাগান।

আবু সাইদ বলেন, ‘বাগানে প্রায় সাতশত গাছ রয়েছে। বাগান করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা। বাগান তৈরির শুরু থেকে শ্রমিকদের নিয়ে বাগান পরিচর্যার কাজ করেন। গাছের যত্ন নেওয়া এবং সঠিক সময় জৈব ও গোবর সারসহ কিছু রাসায়নিক সারও গাছের গোড়ায় দূরত্ব বজায় রেখে দেওয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে জীবানুমুক্ত ট্যাবলেট প্রত্যেক গাছ থেকে ১ ফুট ৬ ইঞ্চি দিয়ে পুতে দেওয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো বাগান থেকে বরই সংগ্রহ শুরু করা হয়েচে।

ইতোমধ্যেই প্রায় দেড়লাখ টাকার কুল বিক্রি হয়েছে। এখনো প্রায় চার লাখ টাকার বিক্রি হবে। খরচ বাদে আড়াই লাখ টাকা লাভ হতে পারে। উপজেলা কৃষি অফিসসহ দিশা সমন্বিত কৃষি বিভাগের কারিগরি সহায়তায় বাগান করতে নানা ধরনের সহযোগিতা করেছে।

জেলা প্রশাসক বলেন আধুনিক কৃষি বিস্তার লাভ করায় এ অঞ্চলে ফলজ বাগানের সংখ্যা বাড়ছেই। কুষ্টিয়া জেলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব উদ্যোক্তাদের কার্যক্রম ও প্রচেষ্টার কথা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চায়। যাতে করে অন্যরাও এতে উৎসাহিত হয়।

মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, জমিতে এবারে বিভিন্ন জাতের কুলের বাগান রয়েছে। বাগানগুলো সঠিক পরিচর্যার জন্য কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীরা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। ৩০ টি বরই বাগান আছে। আবু সাইদ আমাদের পরামর্শ নিয়ে উন্নত জাতের ভারত সুন্দরী বরই বাগান করেছেন। বাগানে প্রচুর পরিমাণে কুল ধরেছে। বাগানটি দেখে অনেকেই বাগান তৈরির জন্য আমাদের কাছে পরামর্শ নিচ্ছেন। আশাকরি বাগান মালিক কাঙ্ক্ষিত ফল পাবেন।

দিশা কুষ্টিয়ার টেকনিক্যাল অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, আমরা পিকেএসএফের সহযোগিতায় তামাক চাষ কমাতে ফলজ বাগান গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে দিশা সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে ফল বাগান গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে অনেক তরুণ উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছে। তাদের সার্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জানুয়ারী ১৫,২০২৪//