মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দুই সীমান্তে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে প্রায় ২৫লাখ টাকা মূল্যের ১২১মেঃটন কয়লা পাচাঁর করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- আজ সোমবার (৯ জানুয়ারী) ভোর ৫টায় পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লা জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন নীলাদ্রী লেকের তীরে অবস্থিত অসিউর রহমান, আব্দুল্লাহ ও মজিবুর মিয়াসহ ৭-৮টি ডিপোতে নিয়ে মজুত করে রেখে বিক্রি করেছে চোরাকারবারী ও সোর্সরা।
এরআগে রাত সাড়ে ১২টা থেকে বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট ও লাকমা এলাকা দিয়ে ৭টি ভ্যান ও অর্ধশতাধিক ঠেলাগাড়ি বোঝাই করে ভারত থেকে কয়লা পাচাঁর শুরু করে একাধিক মামলার আসামি সোর্স ইয়াবা কালাম, জিয়াউর রহমান জিয়া, রতন মহলদার, মোক্তার মহলদার, বাবুল মহলদার ও লেংড়া বাবুলগং।
প্রায় ২৫লাখ টাকা মূল্যের ১২১মেঃটন কয়লা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে পাচাঁর করে টেকেরঘাট বিজিবি ও পুলিশ ক্যাম্পের সামনের অবস্থিত বড়ছড়া-চারাগাঁও শুল্কষ্টেশন সড়ক ব্যবহার করে নিলাদ্রী লেকপাড় নিয়ে মজুত করলেও এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
অথচ তাহিরপুর থানার সাবেক ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার উপরের উল্লেখিত সোর্সদের পাচাঁরকৃত মাদকদ্রব্য ও কয়লাসহ একাধিক নৌকা আটক করে থানায় মামলা দিয়ে সোর্সদেরকে জেলহাজতে পাঠিয়েছিলেন।
কিন্তু বর্তমানে সোর্সদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে তারা সিন্ডিকেডের মাধ্যমে ওপেন চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে- পাচাঁরকৃত অবৈধ ১বস্তা কয়লা (৪০কেজি) থেকে টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নাম ভাংগিয়ে সোর্স ইসাক মিয়া চাঁদা নেয় ২৩০শ টাকা, বড়ছড়া শুল্কস্টেশনে নাম ভাংগিয়ে সোর্স রতন মহলদার চাঁদা নেয় ৫০টাকা, সাংবাদিক ও টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের নাম ভাংগিয়ে সোর্স লেংড়া বাবুল চাঁদা নেয় ৫০টাকা। অন্যদিকে বালিয়াঘাট ক্যাম্পের বিজিবির ভাংগিয়ে চিহ্নিত চোরাকারবারী ও সোর্স ইয়াবা কালাম মিয়া ১বস্তা চোরাই কয়লা থেকে চাঁদা নেয় ১৭০টাকা।
এব্যাপারে বৈধ কয়লা ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস, হারুন মিয়া, ফজলু মিয়াসহ আরো অনেকেই বলেন- রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কয়লা চোরাচালান হচ্ছে। তারা চাইলে এসব বন্ধ করতে পারে কিন্তু করেনা। তাই এব্যাপারে প্রতিবাদ করে কোন লাভ হয়না।
তাহিরপুর প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি ও দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি কামাল হোসেন রাফি বলেন- সোর্সদের চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে বালিয়াঘাট ও টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পে বারবার জানানোর পরও এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়না। এর ফলে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
এব্যাপারে টেকেরঘাট বিজিবির কোম্পানীর কমান্ডার জাফর আহমেদ বলেন- ৪৭বোতল মদ আটক করেছি এজন্য ব্যস্ত ছিলাম, কয়লা পাচাঁরের বিষয়টি আমার জানা নাই, আর সোর্সদেরকে আমি চিনি না, এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখব।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post