সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট:
জেলার কালীগঞ্জে উপজেলার দক্ষিণ গোড়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ফক্কোরের হাট পর্যন্ত তিন কিঃমিঃ রাস্তায় তিন মাস ধরে বালু ফেলে রেখেছে ঠিকাদার। ঠিকাদারের অভিযোগ এলজিইডি কতৃপক্ষ তাঁকে কাজে সহযোগিতা করছে না। তাই জনগণ চরম দূর্ভোগের মূখে পড়েছে।
জানা গেছে, ৮টি প্যাকেজের ১৫ কিঃমিঃ কাঁচা গ্রামীণ সড়ক পাঁকা করার কাজ প্রায় ১১ কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে। এই ঠিকাদার ইলাহি বক্স। ৩ মাস আগে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি। সেই সময় রাস্তা খুঁড়ে ( ইউ ড্রেন কেটে) প্যালাসেটিং ও বালু ফেরে রাখা হয়, এই পর্যন্ত। রাস্তার নির্মাণ কাজের তেমন কোন অগ্রগতি নেই। এতে করে জনসাধারণ চরম দূর্ভোগের মুখে পড়েছে। জমিতে চাষাবাদ করা শস্য পরিবহন করে আনতে খুবই কষ্টের মুখে পড়েছে।
এ ব্যাপারে মেসার্স এমএলটি এন্টারপ্রাইজের মালিক ঠিকাদার এলাহী বকস জানান, তিনি প্যাকেজের ১৫ কিঃমিঃ রাস্তার ১৩ কিঃমিঃ নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন। তিন কিঃমিঃ রাস্তা নির্মাণে এসে ঠেকেছে। জেলা ও উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলীগণ তাঁকে সহায়তা করেনা। বরং তাদের দ্বারা লাঞ্চিত ও নিগৃহীত। নির্মাণ সামগ্রী, শ্রমিক যা লাগে সরবরাহ দিব, প্রকৌশলী দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে কাজ শেষ করে নিতে হবে। তারা সহায়তা না করলে এ কাজ আদ্য শেষ করা সম্ভব নয়। এমনিতে নির্মাণ সামগ্রী কযেক দফা দাম বেড়েছে। ঠিকাদারী ব্যবসা করতে এসে পথে বসে গেছি।
অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী সানজিত রানা জানান, খুঁড়ে রাখা সড়কের কাজ শেষ করার তাগাদা দিয়ে ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারকে অসহযোগিতা করা সম্পর্কে বলেন, এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কাজ বুঝে নিতে তৎপর। এলজিইডির কর্মকর্তাগণ তদারকি করে কাজ তুলে নেয়। অসহযোগিতার কোন বিষয় আমার জানা নেই।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//