শেখ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন , লালমনিরহাট থেকে:
গতকাল রবিবার লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের চৌহারায় তিস্তা নদীতে ভেসে আসা তরুনীর পরিচয় পাওয়া গেছে। মৃতদেহের মেহেদি রাঙ্গানো দুইহাত পিঠমোড়া করে ওড়না দিয়ে বাঁধা ছিল। তরুণীর মেহেদি রাঙ্গানো হাতে লেখা ছিল আই লাভ ইউ।
নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার খড়িবাড়ী এলাকার জহর আলীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে জোসনা। সে ২০২৫ সালের এসএসসি পরিক্ষার্থী ছিল। মাত্র ১৯ দিন আগে তার বিয়ে হয়। নীলফামারী জেলার চাপানী গ্রামের জহিদ মিয়ার সঙ্গে।
বিয়ের পর চাচাতো বোনের বিয়েতে দাওয়াতে বাবার বাড়ীতে এসেছিল জোসনা।
শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর বিকেল হতে নিখোঁজ ছিল । পরিবারের লোকজন তাকে সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। পরে স্বজনরা ধরে নিয়েছিল পারিবারিক ভাবে বিয়েতে খুশি হয়ত ছিল না। সে হয়ত কোন বয়ফ্রেন্ড এর সঙ্গে পালিয়েছে। এ কারণে স্বামী ও বাবার পরিবার হীনমন্যতা এবং লজ্জিত ভাবতে শুরু করে। কিন্তু নিখোঁজের দু’দিন পর তিস্তা নদীর জোসনার লাশ মেলে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কে সেই বয়ফ্রেন্ড। ভালবাসার মাশুল দিতে হলো নির্মম পৈশাচিক হত্যাকান্ড ঘটিয়ে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এসেছে, হত্যার আগে জোসনাকে যৌন নির্যাতন করা হতে পারে। যৌন লালসা চরিতার্থ করার পর তাকে পিঠমোড়া করে দু’ হাত পিছন ওড়রা দিয়ে বাধা হয়। তাকে শ্বাসরুদ্ধকরে হত্যার পর মুখমণ্ডল ভারী কোন কিছু দিয়ে থেঁতলে দেয়া হয়। তারপরও জিঘাংসা পুরণ হয়নি ঘাতকদের। এসিড জাতীয় দাহ্য পদার্থ দিয়ে ঝলসে দেয়া হয় মুখমণ্ডল। মেহেদী রাঙা হাতে লেখা ছিল ‘আই লাভ ইউ’ এই ভালোবাসার আকুতি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, মরদেহ হিমঘরে রাখা রয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের লোকজনকে হস্তান্তর করা হবে। সৃষ্ট ঘটনায় আদিতমারী থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।

Discussion about this post