শেখ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, লালমনিরহাট থেকে:
লালমনিরহাটে এবছর তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় তিস্তা নদীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জন দিয়েছেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আজ রবিবার দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে পুজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে গেলো। তিস্তা নদীতে দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জনে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি নানা ধর্মের হাজারো মানুষের ঢল নামে। শিশু কিশোররা মিষ্টান্ন ও বাতাসা খেতে নদীপাড়ে ভীড় জমায়।
আজ রবিবার দুপুরে দেবীকে চোখের জলে বিদায় জানাতে তিস্তা ব্যারেজ নদী এলাকার নদীর তীরে সমাগম হয় হাজারো ভক্তের। সেখানে প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। এসব দুর্গাপ্রতিমা অত্রাঞ্চলের হাতীবান্ধা, দোয়ানি, জলঢাকার বিভিন্ন পুজামন্ডব হতে আসে। রমনীকান্ত রায় জানান, এবছর এমন সময় তিস্তা প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হচ্ছে নদীতে পানি আছে। সেই সাথে তিস্তায় তেমন স্রোত নেই। পরিস্থিতি প্রাকৃতিকভাবে বিপদজনক নয়। এখানে তিস্তা নদীতে দুর্গা উৎসবে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার বিভিন্ন মন্দির ও পাড়া থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে। নানা ধরনের যান্ত্রিক যানবাহনে কোনোটি ট্রাকে আবার কোনোটি নছিমনে চাপিয়ে আনা হয়। দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জনে আনার সময় সাথে ছিল উৎসুক মানুষ। বাদ্যযন্ত্র ঢোল,খোল, তবলা, শঙ্খ, শাঁকের বাজনা বাজিয়ে হাজারো ভক্তরা নেচে গেয়ে দেবী দুর্গা মাকে তিস্তা নদীতে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে বিদায় জানান। পাঁচ দিন দুর্গা উৎসব পালন করে তিস্তা নদীতে এসেছি মাকে বিসর্জন দিতে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী জানান, এ বছরের তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মত। জিরোটলারেন্স নিয়ে দুর্গাপুজায় মাঠে কাজ করেছে পুলিশ সহ আইনশৃংখলাবাহিনী।