মোঃ রাসেল, বরগুনাঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় অশনি পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দুরবর্তী সংকেত জানিয়ে দেয়া দিতে বলা হয়ছে।
ঘূর্নিঝড় অশনির প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় উপকূলের দিকে ফিরে এসেছে মাছ ধরার শত শত টৃরলার । অশনির প্রভাবে রোববার ভোর রাত থেকেই বরগুনায় শুরু হয়েছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি । সোমবার সকাল থেকেই কয়েকশত ট্রলার পায়রা,বিষখালী, বলেশ্বর, সুন্দরবনের খালগুলোর বিভিন্ন স্থান, ফকিরহাটের টেংরাগিরি অভয়ারণ্য ও উপকূলের খালগুলোতে নিরাপদ আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
সোমবার (৯ মে) সকাল থেকে দিন যতই গড়াচ্ছে আবহাওয়া আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। রাত পর্যন্ত এই বৃষ্টি বেড়েই চলছে।তবে এখন পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়নি। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বরগুনার উপকূলীয় জেলে, কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ।
বরগুনা জেলা মৎস অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইলিশ প্রজননের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে ২০ মে। চলবে ২৩ জুলাই পর্যন্ত। শেষের দিকে কয়েকটি ট্রিপের জন্য জেলেরা সমুদ্রে ইলিশ শিকারে গেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল হওয়ায় প্রচন্ড ঢেউয়ের তোড়ে টিকতে না পেরে নিরাপদ আশ্রয়ে তীরে ফিরে এসেছে জেলেরা।
তালতলীর ফকির হাট থেকে জেলে আব্বাস জানান, একটানা উত্তাল সাগর ও নদী, এই আবহওয়ায় মাছ ধরার কোন উপায় নেই। আর কয়েক দিন পরে (২০ মে) ৬৫ দিনের অবরোধ একদিকে এই ঘুর্নিঝড় অশনি আর একদিকে অবরোধ।ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেতে পেয়ে মারা যাবো।
বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধূরী বলেন, গভীর সমুদ্র উত্তাল থাকায় রোববার বেশ কিছু ট্রলার নিরাপদে আসতে পেরেছে। এখন পর্যন্ত কয়েকশত ট্রলার সুন্দরবনসহ বিভিন্ন জায়গায় নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। তবে এখনো কিছু ট্রলার সাগরে রয়েছে সেগুলো ফিরে আসতে রওনা হয়েছে। যারা এখনও সাগরে অবস্থান করছে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চলমান, তবে এখন পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//১০ মে,২০২২/