ইরফান উল্লাহ, ইবি :
ঐতিহাসিক ১৪ জুলাইয়ে ‘তুমি কে? আমি কে? রাজাকার! রাজাকার!’ স্লোগানে প্রতীকি প্রতিবাদী মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৪ জুলাই) মধ্যরাতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার ডাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় প্রাঙ্গন থেকে এ মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা– ‘তুমি কে? আমি কে? রাজাকার! রাজাকার!’ ‘কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার! স্বৈরাচার!’, ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কী তোর বাপ-দাদার!’, ‘যে হবি স্বৈরাচার, তাকেই বলবো বাংলা ছাড়’, ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। মিছিল শেষে তারা ক্যাম্পাস ফটক সংলগ্ন এলাকায় সমবেত হন।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক তানভীর মাহমুদ মন্ডল, ইয়াসিরুল কবির সৌরভ, গোলাম রব্বানী, মোবাশ্বির আমিন, পারভেজ হাসান চয়ন, জাস্টিস ফর জুলাইয়ের রেজোয়ান আহমেদ সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল।
সমাবেশে ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক ইয়াশীরুল কবির সৌরভ বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের জন্য আজকের দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন। এ ঐতিহাসিক দিনেই আমাদের আন্দোলন তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে গিয়েছিল। আমাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমরা যে আন্দোলনে নেমেছিলাম, স্বৈরাচার সরকার সেই আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলে সম্বোধন করেছিল। তারই প্রতিক্রিয়া স্বরূপ যে শিক্ষার্থীরা সেদিন পর্যন্ত আন্দোলনে যুক্ত ছিল না তারাও আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা সেদিন রাজাকার শব্দটিকে তাদের প্রতিক্রিয়ার ভাষা হিসেবে নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছিল। সারাদেশের ন্যায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সেদিন মাত্র ১৫ মিনিটের ঘোষণায় মিছিল বের হয়েছিল। আজকের মিছিলটি তারই একটি প্রতীক’

Discussion about this post