বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর ) দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ হলরুমে ২০২৩- ২৪ অর্থ বছরে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়
এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুিষ্ঠত হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলি লালাবাজার ২টি ইউনিয়ন থেকে মোট ৬০ জন কৃষক এ প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর দক্ষিণ সুরমা, সিলেট কতৃক আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
সিলেটের অতিরিক্ত উপ পরিচালক (পিপি) মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গৌতম পালের সভাপত্বিতে ও
আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের কোর্স কোর্ডিনেটর আব্দুল মান্নানের পরিচালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন,
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা
অর্নব ধর চৌধুরী, কাওছার আহমদ ও শিল্পী রানী নাথ।
প্রধান অতিথি মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, প্রতিটি অনাবাদী ও পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে হবে। নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি বাড়িতে পারিবারিক পুষ্টিবাগানের অবদান অতুলনীয় ভুমিকা রাখে। যেখানে গ্রামীণ মা-বোনদের পরিচর্যার মাধ্যমে বেকার জমিটুকুর যেমন সদ্ব্যবহার হয়, তেমনি বছরব্যাপী টাটকা শাক-সবজির আদর্শ উৎস হিসেবে কাজ করে।
তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার অনুপাতে উৎপাদন বাড়াতে প্রযুক্তি নির্ভর চাষাবাদের বিকল্প নেই। নতুন নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের উৎপাদন বৃদ্ধির প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আদিকাল থেকে সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে কাঙ্খিত ফসল পাওয়া যায় না, তাই আমাদের পরিশ্রম বিফলে যায়। পারিবারিক চাহিদা পূরণে কৃষি চাষাবাদকে বানিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করতে হলে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষির যান্ত্রিকীকরণ প্রয়োজন। সেচ-নিষ্কাশন, জমি চাষ, রোপন, কীটনাশক প্রয়োগ, পরিচর্যাসহ ধান কর্তন, মাড়াই-ঝাড়াই এর আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, যান্ত্রিকীকরণে যেমন ফলন বেশি, তেমনি সময় ও শ্রম কম লাগে আর কৃষকও লাভবান হয়। তাই পাম্প, পাওয়ার টিলার, পাওয়ার থ্রেসার, স্প্রে মেশিন, রিপার, কম্বাইন্ড হার্ভেষ্টারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩