রাজধানীসহ সারাদেশে চাল মজুদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। তবুও যেন থামছেই না দুষ্টু ব্যবসায়ীদের অসাধু কার্যক্রম।
ঢাকাসহ সারাদেশে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু জায়গায় অনিয়মের এ চিত্র ধরা পড়েছে। দেখা গেছে বেশি লাভের আসায় সক্ষমতার চেয়ে বেশি চাল মজুদ করছে এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা। এছাড়া কিছু কিছু জায়গায় বাড়তি দামে চাল বিক্রি করার অভিযোগে জরিমানাও করছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মিরপুরে তাইয়্যেবা রাইস এজেন্সিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় একটি চালের আড়তে একই রশিদে দুই মূল্য থাকায় ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাগেরহাটে অবৈধভাবে ৫০০ মেট্রিক টন চাল মজুদের দায়ে মেসার্স বরকত আটো রাইস মিলের মালিক মধু সুধন দামকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
একইসঙ্গে বিচারক মজুদ চাল দ্রুত খুচরা দোকানীদের কাছে বিক্রি করতে নির্দেশ দেন। এছাড়া শহরের বিভিন্ন রাইস মিল ও গোডাউনের কাগজপত্র যাচাই করে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই বিচারক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনন্দবাজারের চালের দোকানগুলোতে অভিযানের সময় প্লাস্টিক বস্তায় চাল রাখার দায়ে আবুল খায়ের এন্টারপ্রাইজকে ১০ হাজার টাকা এবং চাল এক মাসের বেশি সময় ধরে মজুত রাখায় শামীম এন্টারপ্রাইজকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দিনাজপুরের হিলিতে চাল মজুদ ও বাড়তি দামে চাল বিক্রি করায় এক মিলমালিকসহ ৫ চাল ব্যবসায়ীকে ৩৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম জানায়, হিলিবাজারে চালের দোকানগুলোতে বাড়তি মূল্যে চাল বিক্রি করা হচ্ছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় দোকানগুলোতে চাল বিক্রিতে অসঙ্গতি পেয়ে তাদের জরিমানা করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে একটি চাল মিলে দীর্ঘদিন ধরে চাল অবৈধভাবে মজুদ করে রাখার অভিযোগে এক ব্যবসায়ীসহ চার চাল দোকানিকে সর্বমোট ৩৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে ধান ও চালের অবৈধ মজুদ বন্ধ করতে অভিযান হয়েছে বগুড়ায়ও। গত বুধবার মোট ১৪টি মামলায় ব্যবসায়ীদের ১১ লাখ ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জেলা প্রশাসন জানায়, অবৈধ চাল মজুদ, লাইসেন্স বা অনুমোদন ছাড়া চাল মজুদসহ আইন অমান্য করে চালের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত থাকায় ব্যবসায়ীদের এই অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া, বাড়তি দামে চাল বিক্রি করায় সিলেটে ৫ প্রতিষ্ঠান ও কুমিল্লায় ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
গত সোমবার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ধান ও চালের অবৈধ মজুদ বন্ধ করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ৮টি দল মাঠপর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করবে।
জা//দেশতথ্য/০২-০৬-২০২২//০২.০৫ পিএম