স্টাফ রিপোর্টার:
সরবরাহ বাড়ায় বাজারে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। দুই-একটি সবজি ছাড়া বেশির ভাগেরই দাম কমেছে ৫-১০ টাকা করে। এদিকে কমেছে ইলিশের দাম, সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের দাম কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এতে অনেকটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন ক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় অধিকাংশ সবজির দাম কমেছে। তবে দুই-একটি সবজির দাম নতুন করে বেড়েছে। দাম বাড়া সবজিগুলোর মধ্যে লাউ আর কচুর মুখি উল্লেখযোগ্য। এই দুই সবজি কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।
আজ শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের বাজারে ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পটোল ৪০-৩৫ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, টমেটো ১১০-১২০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, শসা ৫৫ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, ধুন্দল ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
দাম বেড়ে বর্তমানে কচুরমুখি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্রতি পিস লাউয়ের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এ ছাড়া প্রকারভেদে প্রতি আটি শাক হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়। তবে লাউয়ের শাক প্রতি আটি ৩০ টাকা।
এদিকে বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা।
৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল।
ইলিশের দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সুবল চন্দ্র বলেন, কয়েক দিন ধরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। এতে ইলিশের দাম কিছুটা কমেছে। সামনে দাম আরও কমতে পারে।
ঈদের আগে হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়া কাঁচা মরিচ এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা।
বেশিরভাগ ব্যবসায়ী কাঁচা মরিচের পোয়া ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। তবে এক কেজি বা আধা কেজি নিলে দাম কিছুটা কম রাখা হচ্ছে।
মুরগির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০ টাকায়। আর পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৮০ টাকায়।
সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে পরিবর্তন আসেনি। মুরগির মতো দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের। এক ডজন ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকায়। শিং ও পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৬০ টাকা।
শৈল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়। ঈদের পর এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post