১৭৬০ সাল পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার আটলান্টিক উপকূলে ১৩টি বৃটিশ কলোনী স্থাপিত হয়েছিল। ক্রমান্বয়ে আমেরিকান আদিবাসীদের (ন্যাটিভদের) বিতাড়িত করার পর ১৭৭৫ সালে ওইসব কলোনী গুলোর জনসংখ্যা প্রায় ২৪ লক্ষে দাঁড়ায়। তাদের অধিকাংশের ভাষা ছিল ইংরেজী, ডাচ ও স্প্যানিশ। ১৭৬৫ সালে ফ্রান্স-ইন্ডিয়ান যুদ্ধে জয় লাভের পর বৃটিশ সরকার উপনিবেশ গুলোর উপর কর ধার্য করে। এর প্রতিবাদে আমেরিকায় বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। এর মধ্যে ১৭৭৩ সালের বোষ্টন টি পার্টির আন্দোলন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ওই আন্দোলন ১৭৭৫ সালে আগ্নেয়গিরির মতো জ্বলে উঠে। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই, পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় দ্বিতীয় মহাদেশীয় কংগ্রেসে জেনারেল জর্জ ওয়াশিংটনের নেতৃত্বে উপনিবেশ গুলো একিভূত করে “ইউনাইটেড স্টেট” নামকরণ পূর্বক স্বাধীনতা ঘোষনা করা হয়। প্রথমে এ যুদ্ধ উপনিবেশ গুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও ফরাসী ও স্প্যানিশদের আগমনের ফলে তা ইউরোপ, ক্যারিবিয় অঞ্চল ও ওয়েষ্ট ইন্ডিজে ছড়িয়ে পড়ে।

শত শত বছর ধরে চলমান দাস প্রথা ১৭৮৯ সালের ৪ মার্চ, “ইউনাইটেড স্টেট” এর সংবিধান প্রণয়নের সময় থেকে প্রচ্ছন্নভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পায়। ১৮৫০ সালে হুইগ পার্টির লিডার হেনরী ক্লে এবং ডেমোক্রেট পার্টির লিডার স্টিফেন ডগলাসের মধ্যস্থতায় নতুন অঞ্চলের দাসত্বের বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়েছিল। ওই সমঝোতায় নিউ মেক্সিকোতে দাসত্বের উপর ফেডারেল বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়। পক্ষান্তরে ক্যালিফোর্নিয়াকে একটি মুক্ত স্টেট হিসাবে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছিল। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ‘পলাতক ক্রীতদাস আইন’ অনুযায়ী প্রধান রাজ্য গুলিতে তাদের মালিকদের নিকট পলাতক ক্রীতদাসদের ফিরিয়ে দিতে সহযোগিতা করা হোত।
মূলত দাস প্রথা ও অর্থনৈতিক বৈষম্যকে কেন্দ্র করে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শত বছরের চলমান বিরোধের চুড়ান্ত পরিণতি ছিল এই গৃহ যুদ্ধ। ১৮৬১ সালে ভয়াবহ রাজনৈতিক, সাংবিধানিক, মানবিক এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে নিপতিত হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৮৬০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসাবে আব্রাহাম লিংকন ইউনাইটেড স্টেটের ১৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
লিংকন ১৮০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী, হোডজেনভিল, কেন্টাকিতে জন্ম গ্রহণ করেন। তাহার পিতার নাম থমাস লিংকন। মাত্র ৯ বছর বয়সে তিনি তার মা ন্যান্সি লিংকনকে হারান। শত দরিদ্রতার মাঝেও তার পিতার উৎসাহে তিনি পড়ালেখা চালিয়ে যান। শৈশবে লিংকন কেন্টাকি, ইন্ডিয়ানা এবং ইলিনয়েস বড় হয়ে উঠেন। শৈশবে তিনি ইন্ডিয়ানা স্কুলে পড়তেন। বেশীর ভাগ সময় তিনি বন্ধুদের বই ধার করে পড়ালেখা করতেন। ১৮৩৬ সালে আইনজীবি পরীক্ষায় কোয়ালিফাই করার পর স্প্রীং ফিল্ড বারে আইন পেশায় যোগদান করেন। লিংকন ইলিনয়েস থেকে ১৮৩৪-১৮৪২ পর্যন্ত মোট চারবার স্টেট আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হন। হুইগ পার্টির প্রার্থী হিসাবে হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ (১৮৪৭-১৮৪৯) নির্বাচিত হন
দাস প্রথার বৈধতার বিষয়ে স্ব-স্ব স্টেটকে ক্ষমতা অর্পণ করে “কানসাস নেব্রাসকা অ্যাক্ট অব ১৮৫৪” ইউএস কংগ্রেসে পাশ করা হয়। উক্ত আইনের বিরুদ্ধে উত্তরাঞ্চলের ৩৪টি স্টেটে প্রচন্ড বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। লিংকন ১৮৫৪ সালে হুইগ পার্টি থেকে নবগঠিত রিপাবলিকান পার্টিতে যোগদান করেন। বৃটিশ উপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত উন্নতি লাভ করতে থাকে। উত্তরাঞ্চলের স্টেটগুলো শিল্প বিপ্লবের ছোঁয়া লাগে। সড়ক ও জনপথ, রেলপথ উন্নয়নের কাজ দ্রুত গতিতে এগোতে থাকে। পক্ষান্তরে দক্ষিণাঞ্চলের স্টেটগুলো দাস নির্ভর কৃষি-তুলা, তামাক উৎপাদন এবং তাঁত শিল্পের উপর নির্ভরশীল ছিল। তাদের আয়ের প্রধান উৎস ছিল দাস ব্যবসা। ইতিপূর্বে কোন প্রেসিডেন্ট দাস প্রথা বিলুপ্তির নিমিত্তে সংবিধান সংশোধনের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। পক্ষান্তরে ১৮৬০ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পূর্বেই লিংকন দাস প্রথা বিলুপ্তির পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নেন। উক্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে উত্তরাঞ্চলের জনগনের ব্যাপক সমর্থন লিংকনকে বিজয়ের দ্বার প্রান্তে নিয়ে যায়। পক্ষান্তরে দক্ষিনাঞ্চলের জনগনের মধ্যে উগ্র স্বেতাঙ্গবাদ প্রবল থাকায় এবং কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি ক্ষোভ ও অবজ্ঞার কারনে গৃহযুদ্ধ সৃষ্টিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে। গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পশ্চাৎতে উল্লেখিত কারনগুলো উল্লেখযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
আব্রাহাম লিংকন ১৮৬১ সালের ৪ মার্চ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন (১৮৬১ সালের ৪ মার্চ – ১৮৬৫ সালের ১৫ এপ্রিল)। ১৮৬১ সালের ফেব্রুয়ারী ১২, দক্ষিনাঞ্চলের ৭টি স্টেট সাউথ ক্যারোলিনা, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, অ্যালাবামা, মিসিসিপি, লুইসিয়ানা, টেক্সাস মূল ইউনাইটেড স্টেট (ইউনিয়ন) থেকে বেরিয়ে ‘কনফেডারেট স্টেট অব আমেরিকা’ গঠন করে। ১৮৬১ সালের ১২ ফব্রুয়ারী, কনফেডারেটের আর্টিলারী বাহিনী, ইউনিয়ন বাহিনীর অধিনস্ত ফোর্ট সামটার লক্ষ্য করে গোলা বর্ষণ করে। উল্লেখিত ফোর্টে ইউনিয়ন বাহিনী আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়। এপ্রিল ১৫ প্রেসিডেন্ট আব্রাহম লিংকন কনফেডারেট স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেন এবং সাউথ ক্যারোলিনায় ফেডারেল বাহিনীর (ইউনিয়ন) পাঁচ লক্ষ সৈন্য প্রেরণ করেন। এরপর দক্ষিনের দাস নির্ভর ৪টি স্টেট ভারজিনিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, আরকানসাস এবং টেনাসি ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যায়। মোট ১১টি স্টেট মূল যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেরিয়ে জেফারসন ডেভিসের নেতৃত্বে ‘কনফেডারেট স্টেট অব আমেরিকা’ গঠন করে এবং জেফারসন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহন করেন। পক্ষান্তরে উত্তারঞ্চলের ৩৪টি স্টেট দাস প্রথা বিলুপ্তির পক্ষে প্রেসিডেন্ট লিংকনকে সর্বাত্বক সমর্থন দেন। লিংকনের এ যুদ্ধ ছিল যারা মানবতাকে ভূ-লষ্ঠিত করেছিল, সংবিধানকে পদদলিত করে গণতন্ত্রকে হত্যার চেষ্টায় লিপ্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে। তিনি মানবিকতা, সাম্য, ন্যায় পরায়নতা এবং সাংবিধানিক কাঠামোকে সমুন্নত রেখে ঐক্যবদ্ধ “যুক্তরাষ্ট্র” সুপ্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন।

১৮৬২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন “মুক্তির ঘোষনা” (ইমানসিপেশন প্রক্লেমেশন) একটি নির্বাহী আদেশ ইস্যু করেন, যাহা ১৮৬৩ সালের ১ জানুয়ারী থেকে কার্যকরের ঘোষনা দেয়া হয়। আনুষ্ঠানিক ঘোষনায় প্রেসিডেন্ট লিংকন বলেন, উল্লেখিত স্টেট সমূহে কৃতদাস হিসাবে যারা বন্দী রয়েছে তারা এখন থেকে স্বাধীন, মুক্ত। দাস প্রথা এই মূহুর্ত থেকে বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে। উক্ত নির্দেশ দক্ষিনাঞ্চলের ১১টি স্টেট মেনে নিতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিনাঞ্চল পর্যন্ত গৃহযুদ্ধের লেলিহান শিখা ভয়াবহ রূপ ধারন করেছিল। কিন্তু লিংকন তার সিদ্ধান্তে অটল ও অবিচল ছিলেন। তার নির্দেশনায় ১৮৬৩ সালে শেষের দিকে জেনারেল থমাস লরেঞ্জো মিসিসিপি ভ্যালি থেকে ২০ রেজিমেন্ট কৃষ্ণাঙ্গ সৈন্য নিয়োগ দেন।
১৮৬৩ সালের ১৯ নভেম্বর, প্রেসিডেন্ট লিংকন পেনসালভেনিয়ার গেটিসবার্গের যুদ্ধক্ষেত্রে দাড়িয়ে এক হৃদয়স্পশী ভাষনে বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষরা আমাদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। তাদের প্রতি আমরা সমগ্র জাতী ঐক্যবদ্ধভাবে দলমত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে পারি তবেই তাদের আত্মা শান্তি পাবে। তিনি বলেন, “গণতন্ত্র হলো জানগণের সরকার, জনগণের দ্বারা সরকার, জনগণের জন্য সরকার”। দুই মিনিটে বদলে গেল গণতন্ত্রের সংজ্ঞা। যুক্তরাষ্ট্র তথা সমগ্র পৃথিবীর আকাশ, বাতাস প্রকম্পিত হতে থাকলো। জনগণ আবেগে আপ্লুত হলো।
১৮৬৩ সালে গেটিসবার্গের যুদ্ধে ‘কনফেডারেট’ জেনারেল রবার্ট লি শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করে ভারজিনায় ফিরে আসেন। ১৮৬৩ সালের জুলাই, জেনারেল এস গ্রান্টের নেতৃত্বে ‘ইউনিয়ন বাহিনী’ ভিকসবার্গের যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে মিসিসিপি নদীর নিয়ন্ত্রন গ্রহণ করেন। ফলশ্রুতি হিসাবে কনফেডারেট ভৌগলিকভাবে বিভক্ত হয়। ১৮৬৪ সালে ইউনিয়ন বাহিনীর জেনারেল শেরম্যান টেনেসি নিয়ন্ত্রনে নেয়ার পর আটলান্টা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন এবং যুদ্ধে জয়ী হন। ১৮৬৫ সালের ৩১ জানুয়ারী, ‘ইমানসিপেশন প্রক্লেমেশন’ সংশোধনীটি হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ এ উত্থাপিত হলে ডেমোক্রেটদের সমর্থনে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে পাশ হয় এবং সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী হিসাবে সংযোজিত হয়। তবে উল্লেখিত সংশোধনীটি ইতিপূর্বে সিনেটে পাশ করা হয়। পর্যায়ক্রমে প্রায় আটত্রিশ লক্ষ আফ্রিকান-আমেরিকান ক্রীতদাসকে মুক্তি দেন। ‘ইউনিয়নের’ উল্লেখিত বিজয়সমূহ আব্রাহাম লিংকনকে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিজয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
১৮৬৪ সালে আব্রাহাম লিংকন দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, কূটনৈতিক প্রজ্ঞা লিংকনকে সফল ও জনপ্রিয় রাষ্ট্র নায়ক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে। ১৮৬৫ সালের জানুয়ারী, ইউনিয়ন বাহিনীর নিকট কনফেডারেট বাহিনী পর্যায়ক্রমে পরাজয় বরণ করতে থাকে। ১৮৬৫ সালের ৯ এপ্রিল, জেফারসন ডেভিসের নেতৃত্বাধীন কনফেডারেট বাহিনীকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট লিংকনের নেতৃত্বাধীন ‘ইউনিয়ন’ বাহিনী জয়লাভ করে। ৯ এপ্রিল, কনফেডারেট বাহিনীর কমান্ডার রবার্ট ই লি ‘ইউনিয়ন বাহিনীর’ কমান্ডার ইউলিশিস এস গ্রান্টের নিকট আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে গৃহযুদ্ধের অবসান হয়। গৃহযুদ্ধে প্রায় ৬ লক্ষ ২০ হাজার সৈন্য নিহত এবং ৩ লক্ষাধিক সৈন্য আহত হয়। এর পরের ইতিহাস আরো নিষ্ঠুর, বেদনাদায়ক এবং মর্মান্তিক।
১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল, প্রেসিডেন্ট লিংকন রাতে স্ত্রী মেরীর সঙ্গে ফোর্ডস অডিটরিয়ামে প্রেসিডেনসিয়াল কেবিনে থিয়েটার দেখছিলেন। জুলিয়াস সিজার নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছিল। নাটকটি রাত ১০:১৫ মিনিটে যখন ক্লাইমেক্সে উপনীত হয় তখন হঠাৎ করে থিয়েটারের অভিনেতা জন উইলকেস বোথ (কনফেডারেটর এর কট্টর সমর্থক) স্টেজ থেকে লাফিয়ে পড়েন এবং ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে .৪৪ ক্যালিবারের ডেরেঞ্জারের পিস্তল থেকে লিংকনের মাথায় গুলি চালান। রক্তাক্ত অবস্থায় লিংকন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ১৮৬৫ সালের ১৫ এপ্রিল, সকালে পিটারসন হাউজে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন।
গণতন্ত্রের পুরোধা, গৃহযুদ্ধ অবসানের এবং ক্রীতদাস প্রথা বিলুপ্তির মহানায়ক আব্রাহাম লিংকন বিশ^বাসীর হৃদয়ে চির অম্লান ও চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
লেখক ঃ প্রাক্তন সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতীয় চার নেতা পরিষদ।
রেফারেন্স ঃ (১) এনসাইক্লোপিডিয়া (২) হিস্ট্রি চ্যানেল

Discussion about this post