কুমারখালী প্রতিনিধ:
কুষ্টিয়া এর কুমারখালীর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনস্থ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র দীর্ঘছুটিতেও সেবা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
ছুটিতেও সেবা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন কুমারখালী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’র চিকিৎসক, এফডব্লিউভি ও নার্সসহ অন্যান্যরা। ফলে মা ও শিশু বিষয়ক সেবা নিতে আগত রোগীরা স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেন এবং সেবা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বুধবার (১১জুন) দুপুরে সরেজমিনে কুমারখালী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী শারমিন সুলতানা বলেন, সবখানে ঈদের ছুটি চলছে। এর মধ্যে কুমারখালী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কার্যক্রম চালু রয়েছে। ফলে সেবা গ্রহণ করতে পেরেছি। এতে তিনি ও তার পরিবারের লোকজন সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) ফাহামিদা লতা বলেন, ঈদের দীর্ঘ ছুটির মধ্যেও মা ও শিশু বিষয়ক সেবা গ্রহণ করতে আগত রোগীর সংখ্যা নেহাতই কম নয়। গত ৫ জুন হতে ১১ জুন দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৩০ জন সাধারন রোগীকে সেবা প্রদান করা হয়। এরমধ্যে ১০ জন স্বশরীরে এসে সেবা গ্রহণ করেন এবং দু’জনের ডেলিভারি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এমনকি বন্ধ থাকা স্বত্ত্বেও ঈদের দিন বাদে অন্যান্য দিন আউটডোরের রোগীদের বিশেষ সেবা দিয়েছেন মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) ও সার্জন ডা: মো: তৌহিদুজ্জামান রিফাত। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মো: আব্দুস সালাম মহোদয় এবং সহকারী পরিচালক (ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন) জনাব ডা: মো: নওয়াব আলী।
কুমারখালী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’র মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) ও সার্জন ডা: মো: তৌহিদুজ্জামান রিফাত বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদের লম্বা ছুটিতেও কুমারখালী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সেবা প্রদান অব্যাহত আছে। একজন পরিদর্শিকা (এডব্লিউভি), ১ জন নার্সিং এ্যাটেন্ড্যান্ট (এএনএ) এবং ১ জন দাই নার্স (ডিএনএ) মিলে ছুটির দিনে বিশেষ সেবা চালু রাখা হয়েছে। গত ৫ জুন হতে ১১ জুন দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ২ টি স্বাভাবিক প্রসব এবং ৩টি জরুরী ভিত্তিতে প্রসব পরবর্তী জরুরী সেবা ও পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি করা হয়েছে। আগত রোগীরা সেবা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
পবিত্র ঈদুল আযহার দীর্ঘ ছুটিতেও সেবা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। মুঠোফোনের মাধ্যমে মা ও শিশু বিষয়ক তথ্য সেবা প্রদানের সাথে স্বাভাবিক প্রসব ও জরুরী ভিত্তিতে পরিবার পরিকল্পনা সেবা দেওয়া হয়। এমনকি বন্ধ থাকা স্বত্ত্বেও আউটডোরে আগত রোগীদের সেবা প্রদান থেমে থাকেনি।
জানা গেছে, ঈদুল আযহার দীর্ঘ ছুটিতে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। তবে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী এই দীর্ঘছুটিতে মা ও শিশু বিষয়ক সেবা নিতে আগত রোগীরা স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেন এবং সেবা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন

Discussion about this post