নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার পাইকরা গ্ৰামের এক গৃহবধূকে তার দুলাভাই ধর্ষণ করেছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা করায় বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। ভুক্তভোগী বক্তব্য ও মামলা
সূত্রে জানা যায়, পাইকরা এলাকার মৃত আব্দুর রাহমানের ছেলে আকরাম হোসেন শ্যালিকা একই এলাকায় বসবাস করেন। চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল আকরাম তার শ্যালিকাকে বাড়িতে ডেকে পাঠায়। সে দুলাভাইয়ের ডাকে আকরামের বাড়িতে যায়। আকরাম তাকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সে নিজের ইজ্জত বাঁচাতে আকরামের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এর এক পর্যায়ে তার কাপড় খুলে যায়। আকরাম ওই সময়টির ভিডিও ধারণ করে।
ওই ভিডিও প্রচারের ভয় দেখিয়ে শ্যালিকার শ্লীলতাহানী করতে থাকে। গত ১৬ আগষ্ট আকরাম ভুক্তভোগীর বাড়িতে যায়। এসময় ওই গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ৬ অক্টোবর তার বাড়িতে গিয়ে আবারো ধর্ষণ করতে গেলে ভুক্তভোগীর শোর চিৎকার শুরু করে। আশপাশের লোকজন আসলে আকরাম পালিয়ে যায়। ৭ অক্টোবর আত্রাই থানায় মামলা করতে যায়। অভিযুক্ত আকরাম প্রভাবশালী হওয়াই থানা মামলা না নিয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
এরপর সে আদালতে মামলা করে। ওই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য স্থানীয় এক প্রভাবশালীর মাধ্যমে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে আকরাম। যার ফলে আকরামের ভয়ে আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করছে ওই গৃহবধূর পরিবার।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আকরাম মোবাইলে বলেন, আনিত অভিযোগ মিথ্যা। আমি ভাটারা থানার নয়াবাড়ীর নূরেরচালা এলাকায় থাকি। সেখানে আমার আকসা বাংলাদেশ লিঃ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আছে।
প্রথম জীবনে আমি এক বেলা খাবারের বিনিময়ে শামুক উঠিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতাম। ব্যাংকেও জব করেছি। এখন ঠিকাদারি ব্যবসা করি। সাগর থেকে বালু উত্তোলন আমার প্রধান পেশা। এছাড়া রূপপুর প্রজেক্টে কাজ করেছি। মেট্রোরেলের ১ম ল্যান্ড ডেভোলোপার কন্ট্রাকটর ছিলাম। পদ্মা সেতুতে সিলিকন সাপ্লাই করেছি। তাই আমি ওদের মামলা নিয়ে টেনশন করি না। আপনারা যা পারেন লিখেন আমার কোন সমস্যা নেই।
এলাকাবাসী জানায়, কিছু বছর আগে যে ছেলে একমুঠো ভাতের জন্য শামুক উঠাতো, সেই ছেলে আজ দামি দামি গাড়িতে চলাফেরা করে। কি এমন আলাদিনের চেরাগ পেল জনসাধারণের মনে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।
বা//দৈনিক দেশতথ্য//৪ নভেম্বর, ২০২২//

Discussion about this post