রাণী বিন্ধুবাসীনি, দেশতথ্য ঢাকা অফিস:
বাংলার তাজমহল খুব বেশি দুরে নয়। এটি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার অবস্থিত।বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ১০ মাইল। ওখানে মাত্র ১৫০ টাকা টিকেট কেটে তাজমহল পিরামিড ক্ষুদিরামের ফাঁসির মঞ্চ দেখে আসতে পারেন।
মোগল স্থাপত্যের নিদর্শন হিসেবে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি আগ্রার তাজমহল। তারই অবিকল প্রতিরূপ বাংলার তাজমহল।এর মালিক চলচ্চিত্র নির্মাতা আহসানুল্লাহ মনি।
২০০৩ সালে এটির নির্মাণকাজ শুরু করেন আহসানুল্লাহ মনি। মনি বলেন ১৯৮০ সালে তিনি ভারতের আগ্রায় গিয়ে সত্যিকারের তাজমহল পরিদর্শন করেন। এরপরও আরো ছয়বার ভারতে গিয়ে তাজমহল দেখেন।
তাজ মহলের অপরূপ সৌন্দর্য্যে মোহিত হয়ে তাজমহল নির্মাণের জন্য একদল স্থপতি নিয়োগ করেন। তারা ভারতে গিয়ে তাজ মহলের মাপ-পরিমাপ নিয়ে আসেন।
মনি বলেন: তাজমহলে যে মার্বেল এবং পাথর ব্যবহার করা হয়েছে এখানেও তা-ই ব্যবহার করা হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করায় সময় কম লেগেছে। তা না হলে এটি সম্পন্ন করতে ২০ বছর সময় এবং ২২,০০০ শ্রমিক লাগতো।
২০০৮ সালের ডিসেম্বরে তিনি ‘তাজমহলের কপিক্যাট সংস্করণ’ প্রকল্পের ঘোষণা দেন। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় হয় ৫০ লক্ষ টাকা।
তিনি জানান, বাংলার সাধারণ মানুষের জন্য তাজমহলের রেপ্লিকাটি তৈরি করা হয়েছে। যাদের ভারত গিয়ে প্রকৃত নিদর্শন দেখার সামর্থ্য নেই তারা যেন এটা দেখে তাজমহল দেখার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে সেটাই ছিলো লক্ষ্য।
তাজমহলের এই অবিকল প্রতিরূপ সৃষ্টি করায় ভারত ক্ষুব্ধ হয়। ভারতের বাংলাদেশেস্থ দূতাবাস জানায়, প্রকৃত তাজমহলের (৩০০ বছরের ও বেশি পুরোনো) মেধাস্বত্ব লঙ্ঘন করার দায়ে আহসানুল্লাহ মনিকে অভিযুক্ত করা হবে।
এবি //দৈনিক দেশতথ্য //১৮ মার্চ ২০২৪//