(পুত্র আনোয়ারই তার পিতার হত্যাকারী)
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার সংগ্রামপুর গ্রামের ঈদগাহ সংলগ্ন ভুট্টা ক্ষেতে একটি লাশ পাওয়া যায়। লাশটি ছিল ওই গ্রামের খেজের আলীর (৬৫)। পিবিআই তদন্ত করে খেজের আলী হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে। তারা বলছে খেজের আলীর একমাত্র পুত্র মোঃ আনোয়ার হোসেন @ আনারুল (৪৬) তার পিতাকে নৃশংসভাবে কোদালের আঘাতে হত্যা করে লাশ ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে যায়।
লাশ উদ্ধারের পর নিহত খেজের আলীর ভাই নাজির আলী বাদী হয়ে দৌলতপুর থানার মামলা নং-১৪, তারিখ-০৮/১০/২০২৩ ইং, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করেন। থানা পুলিশ কোন কুল কিনারা না পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে তদন্তের জন্য মামলাটি পিবিআইকে দেয়।
পিবিআই কুষ্টিয়ার একটি দল মামলার মূল রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে। তারা কলাকৌশল অবলম্বন করে জানতে পারে ঘটনার সাথে নিহতের ছেলে আনোয়ার জড়িত। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও টানা জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আনোয়ার স্বীকার করে যে, সে তার পিতাকে হত্যা করেছে। সে জানিয়েছে রাতের আঁধারে কিছু গোপন কথা বলার জন্য তার পিতা খেজের আলীকে গোরস্থান সংলগ্ন স্থানে নিয়ে যায়। তারপর পিছন থেকে কোদাল দিয়ে পিতার মাথায় একাধিক আঘাত করে। এতে মাথার মগজ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়। এরপর খেজের আলী পড়ে গেলে আঘাত করে বুকের হাড় ভেঙ্গে ফেলে এবং মৃত্য নিশ্চিত করে।
আনোয়ার আলী বলছে দীর্ঘদিনের দাম্পত্য কলহ, ধার দেনা, পারিবারিক অশান্তি, নিজ পুত্র শিশির (২০) এর দুর্ব্যবহার ইত্যাদির জন্য আনোয়ার তার পিতাকে দায়ী করে। এরপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পিতা খেজের আলীকে হত্যা করেছে। আনোয়ারের দেওয়া তথ্য ও দেখানো মতে হত্যায় ব্যবহৃত কোদাল পিবিআই কুষ্টিয়া টিম উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, আসামী স্বেচ্ছায় হত্যাকান্ড সম্পর্কে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান
করতে ইচ্ছা পোষন করে।
মামলার তদন্তে ছিলেন পিবিআই কুষ্টিয়ার সাব ইনসপেক্টর বিএম হুমায়ুন কবির ও মোঃ শহীদ আবু সরোয়ার, পুলিশ সুপার, পিবিআই, কুষ্টিয়া।
শিয়াক//দৈনিক দেশতথ্য//৩১ মার্চ ২০২৪//

Discussion about this post