দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদুজ্জামান রুবেল ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাছুমপারভেজ রতন কে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারনে বহিষ্কার করেছে।
৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এর দপ্তর সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষরীত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারাদেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন দৌলতপুর সাব রেজিস্টার অফিসের সেবা প্রত্যাশীরা । দলিল লেখক সমিতির লোকজন, স্ট্যাম্প ভেণ্ডারের মালিকরা ও স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত একটি চক্রটি রমরমা ঘুষ বাণিজ্য করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। ঘুষের টাকার ভাগ সাব-রেজিস্ট্রার, আওয়ামী লীগের নেতাদের পকেটে চলে যেত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পরই এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন সাব-রেজিস্ট্রার অফিস নিয়ন্ত্রণ করা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারা।
তারা এলাকা ছেড়ে পালানোর পর পরই বিএনপির একটা গ্রুপ সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দখলে নেন এবং চাঁদাবাজি শুরু করেন। এই পরিস্থিতিতে অফিস দখল করে চাঁদাবাজি, চাঁদার টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির অপর একটা গ্রুপ তৈরি হয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বিএনপির এই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
আহত হয়েছেন, দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর ইকবাল কর্নেল, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাছুমপারভেজ রতন সহ আর অনেকে।
আহতরা দাবি করে আহ্বায়ক মাসুদুজ্জামান রুবেল নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এবং উভয় পক্ষ উপজেলা বি এন পির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা সমর্থক।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Discussion about this post