কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কুল (বরই) চাষিরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ব্যাপক লাভের আশা তাদের। তবে, সকল ধরনের তথ্য সেবা ও পরামর্শ প্রদান করছে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
মাঠের সকল দিকে তামাক আর তামাক মাঝে খানে দাড়িয়ে আছে সারি সারি কুলগাছ। আকারে ছোট গাছগুলো। বড়জোর চার থেকে পাঁচ ফুট। কুলের ভারে মাটিতে নুয়ে পড়েছে প্রতিটি গাছ। অগ্রিম চাষাবাদ করাই দাম পাচ্ছে ভালো। অনেকেই কুল চাষ করে ঘুচিয়েছেন বেকারত্ব। এবছর পিয়ারপুর ইউনিয়নের প্রায় ৭ জন কৃষক কুল চাষ করেছেন।
পিয়ারপুর ইউনিয়নের নতুন আমদহ গ্রামের কুল চাষী রুবায়েত আহমেদ এর সাথে কথা বলে জানা যায়, উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ শাহরিয়ার শামীম এর নির্দেশনাই চলতি মৌসুমে তার নিজের সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে উন্নতজাতের ভারত সুন্দরী কুলের চাষ করেছেন। তিনি বিঘা প্রতি ১০০ থেকে ১২০ মণ হারে ফলন পাবেন বলে আশা করছেন। এ কুল বাগান রোপণ ও পরিচর্যায় প্রতি বিঘায় খরচ ৩৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার মতো হলেও ফলন ভালো হলে ও বাজার মূল্য ভাল পাওয়া গেলে খরচের দ্বিগুণ লাভ পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
গতকাল ১৯ শে ডিসেম্বর সকালে মাঠ পরিদর্শনের সময়
মোঃ শাহরিয়ার শামীম বলেন, এই মৌসুমে পিয়ারপুর ইউনিয়নের ৭ জন কৃষক বিভিন্ন জাতের কুল চাষ করেছে এবং তাদের সকল ধরনের পরামর্শ সেবা আমরা প্রদান করছি। আশা করি আগামী বছর এমন ধরনের চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে।
এ সময় তিনি, রুবায়েত হোসেনকে বাগানের বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ২০ ডিসেম্বর ২০২৩