Print Date & Time : 5 July 2025 Saturday 4:14 pm

দৌলতপুরে দলিল লেখকদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত

দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে দাখিলকরা দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য দলিল লেখকরা জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর দলিল লেখকদের গণস্বাক্ষরিত আবেদনের মাধ্যমে দাবি জানিয়েছেন।

গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সামনে দলিল লেখকদের দপ্তরে জরুরি সভায় এ দাবি জানান।৮০ জন দলিল লেখকের স্বাক্ষরিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৪ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বিশাল আয়তনের দৌলতপুর উপজেলায় স্থায়ী কোন সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় দূর্গম চরাঞ্চলসহ দুর দুরান্তের সর্বসাধারণ দলিল রেজিস্ট্রেশনের কাজে এসে চরম ভোগান্তির শিকার হোন। স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রার না থাকার কারণে জরুরি প্রয়োজনে জমি ক্রেতা-বিক্রেতাগণ জমি ক্রয় বিক্রয় করতে না পেরেও পারিবারিক ও সামাজিকসহ নানা সমস্যায় পড়ে থাকেন। এসব নানাবিধ সমস্যা নিরসনে সপ্তাহে অন্তত দুইদিন (খন্ডকালীন) দলিল রেজিস্ট্রেশন করে থাকেন। এভাবে দলিল রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম চলাকালে গত ২৬ জানুয়ারি দৌলতপুর সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে দুদক অভিযান চালায়।

অভিযানের দিনও ৩ শতাধিক দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য দলিলের ফিসসহ অত্র অফিসের অফিস সহকারী জান্নাতুল আক্তারের নিকট জমা করা হয়। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলাকালীন ১১০টি দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার পর আকষ্মিকভাবে দুদকের অভিযান শুরু হয়। ফলে অফিসে দাখিলকৃত বা জমাকৃত দলিল রেজিস্ট্রি হয় নাই এবং দাখিলকরা দলিলের জমাকৃত ফিসও ফেরত পাওয়া যায়নি। দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার পর ৫২ ধারা রশিদ প্রদান করার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দলিল রেজিস্ট্রেশন কাজে ব্যস্ত থাকায় দলিল রেজিস্ট্রির পরবর্তী দিনে রশিদ সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। যা পরবর্তীতে জমি ক্রেতা বা বিক্রেতাগণের (মোয়াক্কেল) নিকট প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে দলিল রেজিস্ট্রেশনের দিনও ১১০ থেকে ১২০ টি দলিলের জাবেদা নকল উত্তোলন হয়ে থাকে। একইভাবে গত ২৬ জানুয়ারি তারিখেও বিভিন্ন মোয়াক্কেলের আনুমানিক ১২০টি দলিলের জাবেদা নকল উত্তোলনের জন্য দরখাস্তসহ নকলের টাকা অফিস সহকারী জান্নাতুল আক্তারের নিকট জমা করা হয়। দুদক কর্মকর্তাগণ অফিস সহকারী জান্নাতুল আক্তারের নিকট থেকেও জমা হওয়া ওইসব টাকা জব্দ করেন। ফলে জমি রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় জনদূর্ভোগও বাড়ে। তাই জনদূর্ভোগ লাঘবের স্বার্থে অফিসে দাখিলকৃত দলিল রেজিস্ট্রেশন ও ফিসসহ দলিল ফেরত পাওয়া জরুরি বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, বুধবার বিকালে দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক অভিযান চালিয়ে ৩ লক্ষ ১ হাজার ২০০ টাকা জান্নাতুল আক্তার মুন্নীর হেফাজত বা তার ড্রয়ার থেকে উদ্ধার করে। এসময় অফিস সহকারী জান্নাতুল আক্তার মুন্নীকে আটক করে দুদক। পরে তাকে দৌলতপুর থানা হেফাজতে রাখে। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকালে দৌলতপুর থানা থেকে মুন্নীকে কুষ্টিয়া দুদক কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে তাকে ব্যাপক জিঞ্জাসাবাদ করা হয়। জিঞ্জাসাবাদ শেষে জান্নাতুল আক্তার মুন্নীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। 

দৈনিক দেশতথ্য//এল//