কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার ৩নং ফিলিপনগর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের প্রায় ৩৫ জন ভাতাভোগীর বয়স্ক ভাতার টাকা ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সান্নানের পকেটে বলে জানান এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী আর জানান,বাহেরমাদি পূর্ব পাড়া গ্রামের হানিফের ছেলে সান্নান পেশায় একজন নাপিত। নাপিত থেকে ভোটে দাড়িয়ে মেম্বার হন। সান্নান অনুমানিক ২০১৪ সালের দিকে অস্ত্র সহ কুষ্টিয়া র্যাবের হাতে ধরাপড়ে এবং মামলা চলমান। সান্নান বর্তমানে মাদকের বড় ব্যবসায়ী। গত ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উপলক্ষে, ঈদের আগে ৮ নং ওয়ার্ডের নতুন বয়স্ক ভাতাভোগী, অনুমানিক ৩৫ জন ভাতাভোগী ৬ হাজার টাকা করে পাই। কিন্তু সান্নান সকল ভাতাভোগীর মোবাইল নিজের কাছে নিয়ে টাকা উত্তোলন করে ১হাজার টাকা করে প্রতিজন ভাতাভোগীকে দিয়ে মোবাইল ফিরিয়ে দেন। বাকি ৫ হাজার টাকা সান্নান মেম্বার নিয়ে নেন। আমরা চাই বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক বিচার করা হোক এবং অসহায় ভাতাভোগীরা টাকা ফেরত পাক।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ভাতাভোগী মৃত গুলজার সর্দারের ছেলে হাকিম সর্দার সহ আর একাধিক ভুক্তভোগী জানান, কুরবানির ঈদের প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন আগে আমাদের মোবাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া টাকা আসে। আমরা প্রথমবার এই টাকা পায়। আমরা কিছু বুঝে উঠার আগে সান্নান ও তার স্ত্রী আমাদের বাড়ি বাড়ি এসে মোবাইল নিয়ে নেন। পরে ১ হাজার টাকা করে দিয়ে মোবাইল ফিরিয়ে দেয়। আমরা পরে বাকি ৫ হাজার টাকা চাইতে গেলে আমাদের টাকা ফিরিয়ে না দিয়ে হুমকি দেয় এবং কাউকে যেন না বলি সেই কথা বলে। আমরা ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারিনি কারন সান্নানের কাছে অনেক সন্ত্রাসী থাকে। আপনারা মিডিয়ার লোকজন যখন এসেছেন আমাদের পরিচয় গোপন রাখবেন। তা না হলে সান্নান তার বাহিনী দিয়ে হামলা চালাবে। আমরা চাই আমাদের টাকা ফিরে পেতে চাই ।
এ বিষয়ে ফিলিপনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নইম উদ্দিন সেন্টু জানান, আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে মাইকিং করে বলেছি। আমার পরিষদে কোন সুবিধা ভোগীর কাছে থেকে টাকা নেওয়া হয় না। তার পরেও যদি মানুষ টাকা দেয় আমার কিছু করার নাই।
এ বিষয়ে সান্নান ক্যামারার সামনে কথা বলতে না চাইলেও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন টাকা নিয়েছি তাদের উপকার করার জন্য। আমি তো কার্ডগুলো কিনে এনেছিলাম। তাই টাকা তুলে তাদের দিয়েছি। কাকে টাকা দিয়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সান্নান জানান সমাজসেবা অফিসের দালাল এক নেতা তার ভাতিজাকে দিয়েছি টাকা । পরে সান্নান বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং নিউজ না করার অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শাহিন আফজোজ খশরু জানান, এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আর//দৈনিক দেশথ্যত//১৬ জুলাই-২০২২//

Discussion about this post