মোঃ মহির উদ্দীন, দৌলতপুর, কুষ্টিয়: কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার নারায়ণুর দহখোলা মধ্যপাড়া গ্রামের শওকতের ছেলে আসাদুলসহ আরও চার পাঁচ জনের মারধোরে তহিদ খান আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসায় আছেন।
এ বিষয়ে তহিদ খান বলেন, গত ৩/৮/২২ ইংরেজি তারিখ আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমার স্ত্রী কে আমার ভাতিজা আসাদুলের নেতৃত্বে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধোর করে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করি।
দৌলতপুর থানা পুলিশের এস আই ইলিয়াস বিষয়টি তদন্ত গেলে তারা আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়। তার কারন আমার ভাতিজা একজন সেনা সদস্য সে ছুটিতে আছে। সে বলে আমি একজন সেনা সদস্য আমার নামে থানায় অভিযোগ দিয়ে কিছুই হবে না। থানায় অভিযোগ দিল কেন? বলে আমার ভাতিজা সহ আরো ৫ থেকে ৭ জন আমাকে বেধড়ক মারপিট করে। আমি গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন আমাকে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আমার অবস্থা অবনতি হলে আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করে।। আমি বর্তমানে আবার দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি আছি। আমার ভাতিজা আসাদুল সেনা সদস্য হওয়াতে আমি এখন প্রর্যন্ত বিচার পাচ্ছি না । তাই আমি তদন্ত করে সঠিক বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে আসাদুল বলেন, আমি দ্বিতীয় দিনের মারামারি সময় উপস্থিত ছিলাম তবে মারামারি করি নাই।
এ বিষয়ে মেম্বার বলেন প্রথম দিন ছোট একটি অভিযোগ করেছিল তহিদ খান , পুলিশ তদন্ত আসেন, তদন্ত শেষে পুলিশ চলে যাওয়ার সাথে সাথে তহিদ খান ও তার স্ত্রী কে মারপিট করেছে ঘটনার সত্যতা আছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা এস আই ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ ছিল তহিদের। তদন্ত করে ফিরে না আসতেই আবার তহিদকে মারপিট করেছে। এ বিষয়টি আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//