দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জমি নিয়ে বিবাদমান দ্বন্দ্বের জেরে ভাবিকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন দুই দেবর। নিহত ওই গৃহবধূর নাম নাজমা আক্তার (৩৫)। তিনি উপজেলার গোবরগাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী। শনিবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে তাদের নিজ বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ঘটনার পর ঘাতক দুই দেবর পালিয়ে গেছেন। পুলিশ নিহত নাজমা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে। পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের গোবরগাড়া গ্রামে পৈতৃক জমি ভাগাভাগি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চলে আসা দ্বন্দ্বের জের ধরে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বড় ভাই গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে তার অপর দুই ছোট ভাই শাহীন ও তুহিনের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই দেবরের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তাদের ভাবি নাজমা আক্তারও। এ সময় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে শাহীন ও তুহিন বাঁশের লাঠি দিয়ে নাজমা আক্তারের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি পেটাতে থাকেন। দুই দেবরের বেধড়ক লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই নাজমা আক্তারের মৃত্যু হয়। তাদের নিজ বাড়িতে এই হত্যার ঘটনাটি ঘটে। নিহত নাজমা আক্তার এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জননী ছিলেন। ওই জমি ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত বলে স্থানীয়রা জানান। দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান রাতে এ খবর লেখার সময় জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই দেবরের বেপরোয়া লাঠির আঘাতে তাদের ভাবি নাজমার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার পর থেকে ভাবির ঘাতক শাহীন ও তুহিন পলাতক রয়েছেন। তাদের আটকে ইতোমধ্যে পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।

Discussion about this post